ইউক্রেনকে দূরপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রআগামীকাল ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফা ভোটগ্রহণশপথ নিলেন আপিল বিভাগের ৩ বিচারপতিহিট অ্যালার্ট আরও তিন দিন বাড়তে পারেরাঙামাটিতে সড়ক ও নৌপথে অবরোধ চলছে
No icon

চার সপ্তাহেই প্রতিষেধক, দাবি ট্রাম্পের

চিনের দাবি, দুতিন মাসের মধ্যে ভ্যাকসিন চলে আসবে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আরও এক ধাপ এগিয়ে গত কাল দাবি করলেন, আর এক মাসের মধ্যে তৈরি হয়ে যাবে করোনার প্রতিষেধক।

আমেরিকায় আজ ২ লক্ষ পেরোল মৃতের সংখ্যা। করোনা-সংক্রমিত ৬৭ লক্ষ। এ দিকে, সামনের নভেম্বরেই প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। তার আগে যে কোনও উপায়ে প্রতিষেধক আনতে মরিয়া ট্রাম্প। গত কাল ফিলাডেলফিয়ায় টাউন হলে একটি মার্কিন টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠানে রাজনীতির চেনা সুরেই ট্রাম্প বলেন, আগের সরকার হলে ভ্যাকসিন আনতে বছরের পর বছর সময় লাগিয়ে দিত... ওই এফডিএ (ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন) ও অন্যান্য লাল ফিতের ফাঁস পেরোতে। আর কয়েক সপ্তাহ লাগবে। হয়তো তিন কী চার সপ্তাহ। ওই অনুষ্ঠানে এক ব্যক্তি নিজেকে কনজ়ারভেটিভ সমর্থক পরিচয় দিয়ে প্রেসিডেন্টকে বলেন, ১ মে পর্যন্ত তিনি ট্রাম্পের আশ্বাসে খুশি ছিলেন। কিন্তু এখন বাড়ি থেকে বেরোতে ভয় পান। তিনি ডায়াবিটিস-রোগী। জানালেন, রাস্তায় মাস্ক ছাড়া লোকজন দেখলে পাশ কাটিয়ে-কাটিয়ে হাঁটেন। মানুষের এই মাস্ক না-পরা, পারস্পরিক দূরত্ব বজায় না-করা, এ ধরনের বেপরোয়া মনোভাবের জন্য প্রেসিডেন্টকেই দায়ী করেছেন ওই কনজ়ারভেটিভ সমর্থক।
সম্প্রতি এফডিএ-এর এক কর্তার সাক্ষাৎকারে ইঙ্গিত মেলে, পরীক্ষাধীন মার্কিন ভ্যাকসিনটিকে ছাড়পত্র দেওয়ার কথা ভাবছে ট্রাম্প-প্রশাসন। স্বাস্থ্য মন্ত্রক থেকেও তেমন আভাস মিলছে। শোনা যাচ্ছে, ভোটের আগে বাজারে ভ্যাকসিন আনার জন্য লাগাতার চাপ দিচ্ছে সরকার। ও দিকে, যে সব ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা ভ্যাকসিন তৈরি করছে, তারা জানিয়েছে, ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল সম্পূর্ণ হয়ে হাতে চূড়ান্ত রিপোর্ট না-এলে, ভ্যাকসিন বাজারে ছাড়া হবে না।
বিজ্ঞানীরাও এ নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন, রাজনীতির মাঝে পড়ে মানুষের স্বাস্থ্য-নিরাপত্তা না ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সায়েন্টিফিক আমেরিকান নামে একটি পপুলার সায়েন্স পত্রিকা ১৭৫ বছরে এই প্রথম মার্কিন ভোটের প্রসঙ্গ তুলে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেনকে সমর্থন করছে। ওই পত্রিকার বক্তব্য, প্রমাণ ও বিজ্ঞানকে অগ্রাহ্য করেন ট্রাম্প। এই অতিমারিতে ওঁর আচরণ অসৎ এবং ছন্নছাড়া।

টাউন হলের অনুষ্ঠানে ট্রাম্পকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, কেন এত দিন পরিস্থিতিকে হাল্কা করে দেখানো হয়েছে? জবাবে তিনি বলেন,মোটেই হাল্কা করে দেখাইনি। বড় করেই দেখিয়েছি। তার পরই কাঁধ ঝাঁকিয়ে দাবি করেন, তিনি ইউরোপ ও চিনে যাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা জারি না-করলে, মৃত্যু আরও বাড়ত। বলেন, অনেক প্রাণ বাঁচিয়ে দিয়েছি!

গোটা বিশ্বে সংক্রমণের সংখ্যা ৩ কোটি ছুঁয়ে ফেলল বলে। মৃত্যু, ৯ লক্ষ ৪২ হাজারের বেশি। আমেরিকার পরে সংক্রমণ তালিকায় রয়েছে ভারত ও ব্রাজিল, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে। ১ কোটি ৭৯ হাজার সংক্রমিতকে নিয়ে রাশিয়া চতুর্থ স্থানে। কিন্তু মৃত্যু-তালিকায় রাশিয়া প্রথম দশে নেই। তাদের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের ঘোষণা অনুযায়ী, ১ কোটির উপরে সংক্রমণ হলেও মৃত্যু ১৮,৯১৭। মৃত্যুতে চতুর্থ স্থানে রয়েছে মেক্সিকো। মৃত্যুহারেও এগিয়ে তারা। ৬ লক্ষ ৭৬ হাজার করোনা-আক্রান্তের মধ্যে মারা গিয়েছেন ৭১,৬৭৮ জন।