শপথ নিলেন আপিল বিভাগের ৩ বিচারপতিহিট অ্যালার্ট আরও তিন দিন বাড়তে পারেরাঙামাটিতে সড়ক ও নৌপথে অবরোধ চলছে কক্সবাজারের রেলপথ অনিরাপদএফডিসির ঘটনায় ডিপজল-মিশা সওদাগরের দুঃখ প্রকাশ
No icon

রক্তাক্ত রাজপথে আরও বড় আন্দোলনের প্রস্তুতি

নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে ৩৮ জন নিহতের পরদিনও আরও বড় পরিসরে বিক্ষোভের পরিকল্পনা করছে মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনকারীরা। সামরিক জান্তার রক্তচক্ষু উপেক্ষা করেই রাজপথে নামছেন তারা।বৃহস্পতিবার আন্দোলনকারীরা আগের দিনের চেয়েও বড় আকারে মিছিল-সমাবেশের আয়োজন করেছেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে রয়টার্স।আন্দোলনকারীদের একজন মাউং সাউংখা বলেন, আমরা জানি যে কোনও মুহূর্তেই আমরা গুলিবিদ্ধ কিংবা খুন হতে পারি। তারপরও সামরিক জান্তার অধীনে বেঁচে থাকার কোনও মানে নেই। এ কারণেই এই পথ বেছে নেওয়া।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও বৃহস্পতিবার ইয়াঙ্গুনে অন্তত দুটি বিক্ষোভের পরিকল্পনার কথা জানানো হয়েছে।এরআগে বুধবার সেনাশাসনের অবসান দাবিতে মিয়ানমারের বিভিন্ন শহরে গণতন্ত্রপন্থি বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি চালিয়ে কমপক্ষে ৩৮ জনকে হত্যা করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। পুলিশ-সেনা বাহিনীর এই তাণ্ডবে আহত হয়েছেন অনেকে। আটক করা হয়েছে তিন শতাধিক মানুষকে। এক মাসের চলমান বিক্ষোভে এক দিনে নিহতের সংখ্যা এটাই সর্বোচ্চ।

গত এক মাসের বিক্ষোভে ৫০ জনের বেশি মানুষকে হত্যা ও দেড় সহস্রাধিক মানুষকে আটক করেছে সেনা-পুলিশ। বিক্ষোভরত মানুষের বিরুদ্ধে হত্যা-নিপীড়ন বন্ধে সেনা সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ক্যাথলিক খ্রিষ্টানদের প্রধান ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস।১ ফেব্রুয়ারি সেনাবাহিনী গণতান্ত্রিক সরকারকে হটিয়ে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করার পর প্রথমেই বিক্ষোভে ফুঁসে উঠেছিল মিয়ানমারের বৃহত্তম শহর ইয়াঙ্গুন। সেখানেই সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ হচ্ছে। বুধবার শহরের রাস্তায় হাজারো বিক্ষোভকারী নেমে এলে তাদের ওপর গুলি চালায় সেনা-পুলিশ। এতে নিহত হয়েছেন কমপক্ষে আটজন। আহত হয়েছেন অনেকে। আটক করা হয়েছে কয়েকশ বিক্ষোভকারীকে।প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে এএফপি জানায়, বুধবার নিরাপত্তা বাহিনী নির্বিচারে শক্তি প্রয়োগ করায় রক্তে রঞ্জিত হয়েছে সাগাইং অঞ্চলের মনিওয়া শহর। সেখানে সেনাবিরোধী বিক্ষোভে গুলি চালিয়ে কমপক্ষে সাতজনকে হত্যা করেছে পুলিশ। শহরের উত্তরাঞ্চলে সন্ধ্যার দিকে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র দিয়ে তাদের ওপর গুলি চালানো হয়। তিনজার শুনলেই নামের এক বিক্ষোভকারী জানান, 'পরিস্থিতি খুবই ভয়ংকর, এ তো গণহত্যা। এখানকার পরিস্থিতি ভাষায় বর্ণনা করার মতো নয়।'মনিওয়া শহরের পরিস্থিতি নিয়ে পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক এক চিকিৎসক জানান, বিক্ষোভে অন্তত সাতজন নিহত হয়েছেন বলে তারা নিশ্চিত হতে পেরেছেন। কয়েকজন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী এএফপিকে জানান, তারা দেখেছেন, রক্তাক্ত দুই বিক্ষোভকারীকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। তখন তারা মৃত নাকি জীবিত ছিল, তা নিশ্চিত করতে পারেননি তারা।