NEWSTV24
নির্বাচনী ব্যবস্থার স্থায়ী সমাধান চায় বিএনপি
বুধবার, ১০ মে ২০২৩ ১৫:৫০ অপরাহ্ন
NEWSTV24

NEWSTV24

কোনো দলীয় সরকার নয়, সংবিধানে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনঃস্থাপনের মাধ্যমে নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থায় স্থায়ী সমাধান চায় বিএনপি। একটি সংসদ বহাল রেখে আরেকটি সংসদ নির্বাচনের পদ্ধতিও বাতিল চায় দলটি।বিএনপি নেতারা মনে করেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘনিয়ে এলেই গ্রহণযোগ্য নির্বাচন ব্যবস্থার দাবিতে বিরোধী দলগুলো রাজপথে সোচ্চার হয়। অন্যদিকে বিরোধী দলের দাবিকে অগ্রাহ্য করে অনড় অবস্থানে থাকে ক্ষমতাসীন সরকার। ফলে রাজনৈতিক সংঘাত অনিবার্য হয়ে ওঠে। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে একই চিত্র ঘুরপাক খাচ্ছে। এই অবস্থার স্থায়ী সমাধান চায় বিএনপি।আলোচনার ভিত্তিতে সংবিধান সংশোধন করে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনী ব্যবস্থা সংবিধানে সংযোজনের পক্ষে বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব। বিভিন্ন সময়ে দলটির হাইকমান্ড দলের নেতাদের সঙ্গে এ নিয়ে কথাও বলেছেন। ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বিএনপির স্থায়ী কমিটির প্রয়াত নেতা মওদুদ আহমেদও দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বরাত দিয়ে এ কথা  বলেছিলেন। সাবেক আইনমন্ত্রী মওদুদ বলেছিলেন, যুক্তরাজ্যেও এই ধরনের বিধান নেই। হাউজ অব কমন্স ভেঙে না দিয়ে সেখানেও আরেকটি নির্বাচন হয় না। আমাদের সংসদ ভেঙে দিয়েই নির্বাচন করতে হবে।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এই অবৈধ সরকারের অধীনের কোনো নির্বাচনই নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য হতে পারে না এবং জনগণ স্বাধীনভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে না। সেজন্য এই সংসদ ভেঙে দিয়ে এই অবৈধ সরকার পদত্যাগ করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের নিকট ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবি আজ গণদাবিতে পরিণত হয়েছে। তাই জনগনের মনোভাব বুঝে বিএনপির ঘোষিত ১০ দফা মেনে সরকারকে পদত্যাগের আহ্বান জানাচ্ছি। অন্যথায় রাজপথে এই দাবির ফয়সালা হবে।১০ দফা দাবিতে বিএনপি রাজপথে থাকার পাশাপাশি ক্ষমতাসীন শেখ হাসিনা সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টিতে কূটনৈতিক তৎপরতা চালাচ্ছে। বিএনপির নেতারা বলেন, ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার সাজা হলে বিএনপির ওপর হতাশা চেপে বসে। তারেক রহমান দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হলেও ওই সময় পুরো দলের প্রতি তার নিয়ন্ত্রণ ছিল না। ইচ্ছা না থাকলেও দল ভাঙ্গার চাপ থেকে ওই নির্বাচনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ব্যানারে নির্বাচনে অংশ নেয়। এই নিয়ে নানা সমালোচনা তৈরি হয়। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরে মনোবল ভেঙে পড়া বিএনপিকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী করার উদ্যোগ নেওয়া হয়।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ^র চন্দ্র রায় বলেন, যে কোনো সময়ের চেয়ে এই মুহূর্তে সাংগঠনিকভাবে বিএনপি ব্যাপক শক্তিশালী। যার কারণে এখন গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত কর্মসূচি করা যাচ্ছে।এ অবস্থায় দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা বলেন, বর্তমানে নেতাকর্মীদের মনোবল এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে, চলমান আন্দোলনে সফল হওয়া সম্ভব। গুলশানের বাসায় অবস্থান করা খালেদা জিয়া এবং যুক্তরাজ্যে অবস্থান করা তারেক রহমানের সাথে সাক্ষাৎ করা নেতারাও বলেছেন, উভয় নেতার মনোবল বেশ চাঙ্গা, তাদের সিদ্ধান্ত এই সরকারের অধীনে আর কোনো নির্বাচন নয়।দলের শীর্ষ নেতৃত্বের বরাত দিয়ে বিএনপির এক নেতা বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের অধীনে বিএনপি আর কোনো নির্বাচনে অংশ নেবে না। আন্দোলনের তীব্রতা বাড়লে দল ভাঙাসহ নানা পদক্ষেপ এবং আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে নিতে সরকার নানা প্রস্তাবও দিতে পারে। নির্বাচনকালীন সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বের প্রস্তাবও আসতে পারে, সে ব্যাপারেও দল বেশ শক্ত অবস্থানে রয়েছে।