NEWSTV24
পেপটিক আলসার: কারণ, রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা
রবিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৫ ১৫:৩৯ অপরাহ্ন
NEWSTV24

NEWSTV24

সাধারণত গ্যাস্ট্রিক বা আলসার নামে পরিচিত রোগটি চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় পেপটিক আলসার নামে পরিচিত। পেটের উপরি অংশে যে ব্যথা বা জ্বালাপোড়া অনুভূত হয়, এটি তারই একটি নাম। তবে পেটের উপরি অংশের সব ব্যথার উৎস পাকস্থলী নয়।

রোগের কারণ

পাকস্থলী অত্যন্ত শক্তিশালী হাইড্রোক্লোরিক এসিড উৎপন্ন করে। যখন এই এসিড এবং পাকস্থলীর প্রতিরোধ ব্যবস্থার মধ্যে ভারসাম্য নষ্ট হয়, তখন এসিডের আধিক্যের কারণে পাকস্থলী বা গলনালির শেষাংশে ক্ষত বা ঘা (আলসার) হয়। মূল কারণ হলো হেলিকোব্যাক্টর পাইলোরি জীবাণু: এই জীবাণু সরাসরি আলসার সৃষ্টি করতে পারে। ব্যথানাশক ওষুধ: কিছু ব্যথানাশক ওষুধ আলসার হওয়ার জন্য দায়ী। ঝুঁকি বৃদ্ধি করে: ধূমপান, অ্যালকোহল সেবন এবং মানসিক চাপ এ রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।

রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা প্রাথমিক লক্ষণ: খালি পেটে বা খাওয়ার পরে কমে যাওয়া পেটের উপরি অংশের মাঝ বরাবর বারবার ব্যথা বা জ্বালাপোড়া।

নিশ্চিতকরণ: একমাত্র এন্ডোস্কোপি পরীক্ষার মাধ্যমেই পাকস্থলীতে আলসার আছে কিনা, তা নিশ্চিত করা যায়। এন্ডোস্কোপির বায়োপসি নমুনা থেকে আলসারের কারণ (যেমন জীবাণু) বোঝা সম্ভব।

চিকিৎসায় সতর্কতা: পাকস্থলীর ক্যান্সার এবং জিইআরডি রোগে একই ধরনের উপসর্গ দেখা যায়। পেপটিক আলসারের চিকিৎসা শুরু করলে এ রোগ নির্ণয় করা জটিল হয়ে যেতে পারে। তাই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা শুরু করা উচিত।প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ ধূমপান, অ্যালকোহল ও ব্যথানাশক ওষুধ কমিয়ে বা সম্পূর্ণরূপে এড়িয়ে চললে রোগটি অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণ করা যায়।জীবাণুর আক্রমণে আলসার হলে নিয়ম অনুযায়ী অ্যান্টিবায়োটিক এবং আলসার প্রতিরোধক ওষুধ খেতে হবে।অ্যান্টাসিড জাতীয় ওষুধ কেবল সাময়িক উপশম দেয়।