ইউক্রেনকে দূরপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রআগামীকাল ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফা ভোটগ্রহণশপথ নিলেন আপিল বিভাগের ৩ বিচারপতিহিট অ্যালার্ট আরও তিন দিন বাড়তে পারেরাঙামাটিতে সড়ক ও নৌপথে অবরোধ চলছে
No icon

জাবি ক্যাম্পাস সংলগ্ন এলাকায় নিরাপত্তাহীনতায় শিক্ষার্থীরা

ক্যাম্পাসের বাইরে স্থানীয়দের সঙ্গে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনায় শুক্রবার রাত থেকে উত্তাল ক্যাম্পাস। সংঘর্ষের পরদিন শনিবার দুপুরে নিরাপত্তার দাবিতে তালা ভেঙে আবাসিক হলে উঠে পড়েন ছাত্ররা। তবে যারা এখনো হলে উঠতে পারেননি তারা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস সংলগ্ন এলাকায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জানিয়েছেন।রোনাভাইরাসের কারণে গত বছরের মার্চ থেকে বন্ধ রয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। ক্লাস-পরীক্ষার চাপ না থাকায় অনেক শিক্ষার্থী ক্যাম্পাস সংলগ্ন এলাকায় বাসা ভাড়া নেন। সময় কাজে লাগাতে বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন তারা।সাবেক শিক্ষার্থীরাও এসব এলাকায় থেকে চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতেন। ৫ হাজারের মতো শিক্ষার্থী ক্যাম্পাস সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছেন বলে জানিয়েছেন আন্দোলনরতরা। এর মধ্যে ৫ শতাধিক শিক্ষার্থী গেরুয়ায় বাসা ভাড়া নিয়ে থাকেন, যার একটি বড় অংশ ছাত্রী।স্থানীয়দের সঙ্গে সংঘর্ষপরবর্তী পরিস্থিতিতে নিরাপত্তাহীনতা ও থাকার জায়গা সংকটে রয়েছেন শিক্ষার্থীরা। তারা বলেছেন, গেরুয়ার বাসিন্দারা উত্তেজিত হয়ে আছে। এমন পরিস্থিতিতে ওই এলাকায় তাদের ভাড়া বাসায় গেলে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটতে পারে। তাই এখন আবাসিক হল নিরাপদ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৪ ব্যাচের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী সামিয়া বলেন, গেরুয়ার বাসায় ফিরতে পারছি না। কারণ নিরাপত্তার সংকট রয়েছে। ৪৬ ব্যাচের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী সবুজ হোসেন বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে হলে থাকা ছাড়া কোনো উপায় দেখছি না।শনিবার হলে ওঠার পর আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের আলাউদ্দিন সোহাগ বলেন, হলে উঠে আমরা ভালো আছি। এখন নিরাপদ বোধ করছি সবাই। হলের বাইরে যারা এখনও অবস্থান করছেন, তাদের হলে আসার আহ্বান জানাচ্ছেন বলে জানান এ শিক্ষার্থী।সমকালের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের অন্তত ১০টি ভিন্ন ব্যাচের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা হয়। তাদের তথ্যমতে, ৪২ থেকে ৪৪ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের প্রায় সবাই ভাড়া বাসায় থাকেন। ছাত্রীদের ক্ষেত্রে এ সংখ্যা ৬০-৭০ শতাংশ।এদিকে শিক্ষার্থীদের ওপর স্থানীয়দের হামলার ঘটনায় নিন্দা ও জড়িতদের গ্রেপ্তার করে দ্রুত বিচার দাবি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ, ছাত্রদল, ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্র ফ্রন্ট ও জাবি সাংস্কৃতিক জোট। তারা হলের পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক করে দেওয়ার দাবি জানায়।