এফডিসির ঘটনায় ডিপজল-মিশা সওদাগরের দুঃখ প্রকাশপ্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেনগরমের তীব্রতা কমাতে কী কাজ করেছেন, জানালেন হিট অফিসারবিনা ভোটে নির্বাচিত ৩৩ প্রার্থীসব ধরনের যাত্রীবাহী ট্রেনে ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে
No icon

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স পরীক্ষা হতে পারে অনলাইনে

করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে দীর্ঘ ৮ মাস বন্ধ রয়েছে শিক্ষা কার্যক্রম। এবছর প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের অটোপাস ও এইচএসসি পরীক্ষাও অনুষ্ঠিত হয়নি।এমন পরিস্থিতিতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজারো শিক্ষার্থীর পরীক্ষা হবে না অটোপাস দেয়া হবে এ নিয়ে চলছিলো নানা গুঞ্জন। তবে বৃহস্পতিবার এসব শিক্ষার্থীকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের মাধ্যমেই মূল্যায়ন করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোর স্নাতকের (সম্মান) অবশিষ্ট পরীক্ষাগুলো এক-দুই মাসের মধ্যে নেওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, করোনার কারণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অধীন স্নাতকের (সম্মান) চূড়ান্ত পর্বের দুই লাখ ২৬ হাজার পরীক্ষার্থী সমস্যায় পড়েছেন। মোট ৩১টি বিষয়ে স্নাতকের (সম্মান) চূড়ান্ত পরীক্ষা শুরু হয়েছিলো গত ১৭ মার্চ সাধারণ ছুটি ঘোষণার আগে। চূড়ান্ত পর্বে মোট আটটি তত্ত্বীয় পরীক্ষা হয়। এর মধ্যে পাঁচটি বিষয়ের পরীক্ষা করোনা বন্ধের আগেই শেষ হয়েছিল। বাকি পরীক্ষাগুলো কবে হবে, সেটি অনিশ্চিত। তবে ভিন্ন পদ্ধতিতে অনার্স পর্যায়ের এসব শিক্ষার্থীর পরীক্ষা নেয়ার বিকল্প চিন্তা করছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়।জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক হারুনুর রশিদ বলেন, অনার্স পর্যায়ে সফটওয়্যারের মাধ্যমে অনলাইনে পরীক্ষা নেয়ার প্রস্তুতি রয়েছে। তিনি আরো বলেন, সফটওয়্যার ভিত্তিক পরীক্ষা নেয়ার একটি ব্যবস্থা এরই মধ্যে প্রাথমিকভাবে প্রস্তুত করা হয়েছে।

প্রয়োজনে আমরা ঐ সিস্টেমটি দিয়ে পরীক্ষামূলক ভিত্তিতে একটি পরীক্ষা নিয়ে দেখবো এবং তা যদি সফল হয় তাহলে ঐ সফটওয়্যারের মাধ্যমে অন্যান্য পরীক্ষাগুলো নিতে পারবো।হারুনুর রশিদ বলেন, পরীক্ষা না নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের একজন শিক্ষার্থীকে মূল্যায়ন করলে তাদের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। এজন্য অনার্স চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা না নিয়ে মূল্যায়ন করা হলে তারা কর্মক্ষেত্রে এবং উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরণের প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়তে পারে।অপরদিকে মাঝপথে পরীক্ষা স্থগিত হয়ে যাওয়ায় চাকরি পাওয়ার চেষ্টায় পিছিয়ে পড়ছেন এই শিক্ষার্থীরা। সেশনজটে পড়েও তাদের চাকরির বয়স বাড়ছে। ফলে যত দিন গড়াচ্ছে চাকরি পাওয়ার সময়ও তাঁদের কমে আসছে। এ জন্য এসব পরীক্ষার্থীর চাওয়া, ইতিমধ্যে অনুষ্ঠিত পাঁচটি পরীক্ষার ভিত্তিতে ফল দেওয়া কিংবা অন্য কোনো উপায়ে হলেও চাকরির যেসব নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি হচ্ছে, সেগুলোতে অংশগ্রহণের ব্যবস্থা করা।