ইউক্রেনকে দূরপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রআগামীকাল ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফা ভোটগ্রহণশপথ নিলেন আপিল বিভাগের ৩ বিচারপতিহিট অ্যালার্ট আরও তিন দিন বাড়তে পারেরাঙামাটিতে সড়ক ও নৌপথে অবরোধ চলছে
No icon

শিক্ষাসংক্রান্ত সিদ্ধান্তে আরো সুবিবেচনা প্রয়োজন

সরকার দেশের শিক্ষাঙ্গনের গুরুত্ব বিবেচনা করে গতিশীলতার স্বার্থে দুটি আলাদা মন্ত্রণালয় করেছিল। মূল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বাইরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় গঠিত হয়েছে। এতে নিশ্চয়ই কিছু গতি বৃদ্ধি ঘটেছে। তবে করোনাকালে শিক্ষা, শিক্ষার্থীদের ক্লাস ও পরীক্ষা নিয়ে যেসব নিরীক্ষা দেখতে পাচ্ছি তা আমাদের যথেষ্ট স্বস্তি দিতে পারছে না। এ সত্যটি আমাদের মানতে হবে, করোনার মতো ভয়াবহ উপদ্রব মোকাবেলার প্রস্তুতি কারো ছিল না। তাই প্রাথমিক ধাক্কা সামলে উঠতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়গুলোর বেশ কিছুটা সময় পার হয়ে গেছে। এরপর যেভাবে একের পর এক সিদ্ধান্ত আসছে তাতে মনে হয় শিক্ষা ও শিক্ষা ব্যবস্থাপনার সঙ্গে যুক্ত বিশেষজ্ঞরা সিদ্ধান্ত রাখার তেমন সুযোগ পাননি। ফলে প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শুরু করে উচ্চশিক্ষার সঙ্গে যুক্ত শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা তেমন স্বস্তি পাচ্ছেন না। এসব প্রসঙ্গ নিয়ে জাতীয় দৈনিকে এবং কালের কণ্ঠেও আমরা লিখে যাচ্ছি। তবে মন্ত্রণালয় এসব ব্যাপারে গুরুত্ব দিচ্ছে বলে মনে হচ্ছে না। তাই আবারও কড়া নাড়তে হচ্ছে।

গত সপ্তাহে কালের কণ্ঠে করোনাকালের শিক্ষা সংকট নিয়ে একটি তথ্যসমৃদ্ধ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে যথার্থই বলা হয়েছে, শিক্ষাবর্ষ প্রায় শেষ হতে যাচ্ছে অথচ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু শিক্ষার্থীরা কিভাবে পরবর্তী ক্লাসে উন্নীত হবে সে সম্পর্কে এখনো সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা পাওয়া যায়নি। অনলাইন ক্লাসের কথা বলা হচ্ছে ঠিকই; কিন্তু গ্রামগঞ্জের হাজার হাজার স্কুলের শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের ক্লাসের সামর্থ্য ও অভিজ্ঞতা যে নেই এই বিষয়টি কোনো বিবেচনার ভেতরই লক্ষ করা যাচ্ছে না। বিদ্যালয় ও শিক্ষকদের কাছে শিক্ষার্থীর মূল্যায়নের কোনো মানদণ্ড তৈরি করে দেয়নি মন্ত্রণালয়। ফলে বছরের শেষে একটি ধোঁয়াচ্ছন্ন অবস্থায় থাকতে হচ্ছে। এই করোনাকালে টিউশন ফি কমানো নিয়ে কথা উঠছে। অসংখ্য বেসরকারি প্রাথমিক ও কিন্ডারগার্টেন স্কুলে তো বেতন দেওয়াই হচ্ছে না। এখন ফি কমিয়ে না হয় অভিভাবকদের কিছুটা স্বস্তি দেওয়া হবে; কিন্তু অসংখ্য শিক্ষকের জন্য আর্থিক প্রণোদনা কোথায়! সরকারি চাকরি করছে না বলে এই শিক্ষকরা অর্থকষ্টে মানবেতর জীবন যাপন করবেন, তাতো হতে পারে না। অথচ তাঁরাই একটি উল্লেখযোগ্যসংখ্যক শিক্ষার্থীর দায়িত্ব নিয়ে সরকারের দায়ভার অনেকটা লাঘব করে আসছেন।