করোনা পরিস্থিতিতে আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে পশুর হাট ব্যবস্থাপনায় বেশ কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।বুধবার এক তথ্য বিবরণীতে সরকারের পক্ষ থেকে এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে-
অনলাইনের পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি ও সরকারের অন্যান্য নির্দেশনা অনুযায়ী কোরবানির পশুর হাট বসাতে হবে। হাটে ক্রেতা-বিক্রেতাদের একমুখী চলাচল থাকতে হবে, অর্থাৎ প্রবেশপথ এবং বের হওয়ার পথ আলাদা করতে হবে। হাতে পর্যাপ্ত সময় রেখে পশু কেনা নিশ্চিত করতে হবে।বৃদ্ধ ও শিশুদের পশুর হাটে প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করা, পশুর হাটে জাল টাকা শনাক্তকরণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা রাখা, হাটে আসা সবাই যাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলেন, সেটি নিশ্চিত করা এবং ক্রেতা-বিক্রেতার তাপমাত্রা মাপার যন্ত্র, হাত ধোয়ার জন্য পর্যাপ্ত বেসিন, পানি ও জীবাণুনাশক সাবান রাখতে হবে।অনলাইনে পশু কেনাবেচায় মানুষকে উৎসাহিত করতে হবে। অনলাইনের মাধ্যমে পশু কেনাবেচার জন্য সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগ ও ই-ক্যাবের যৌথ উদ্যোগে এবং এটুআইয়ের কারিগরি সহায়তায় এ ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। এর আওতায় www.digitalhaat.net প্ল্যাটফর্মে সারা দেশের ২৪১টি ডিজিটাল হাট যুক্ত করা হয়েছে।
এ ছাড়া যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটায়, এমন স্থানে পশুর হাট বসানো যাবে না। এই নির্দেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া, পশুর হাটে সামাজিক দূরত্ব মেনে লাইনে দাঁড়ানো এবং প্রবেশ ও বের হওয়ার সময় সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। সরকার নির্ধারিত স্থানে পশু কোরবানি দিতে হবে।পশু কোরবানির পর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বর্জ্য অপসারণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।