তীব্র তাপপ্রবাহ: ৭ দিন স্কুল বন্ধের দাবি ভেজাল নকল পণ্যে সর্বনাশতাপমাত্রা আরও বাড়তে পারেতাপপ্রবাহ আরও কত দিন থাকবে জানালো আবহাওয়া অধিদপ্তরচুয়াডাঙ্গায় হিট অ্যালার্ট জারি
No icon

মাটির নিচ দিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু ডিপিডিসির

বিদ্যুৎ সরবরাহ নির্ভরযোগ্য ও নিরবচ্ছিন্ন করতে বিতরণ লাইন মাটির নিচে নিচ্ছে ঢাকা বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানি (ডিপিডিসি)। প্রাথমিকভাবে বঙ্গভবন থেকে জাহাঙ্গীর গেট এবং গাবতলী থেকে আজিমপুর পর্যন্ত মূল রাস্তার দুপাশের ওভারহেড (মাটির উপরের) বিতরণ লাইনকে মাটির নিচের লাইনে নেওয়া হবে। ইতোমধ্যে জাহাঙ্গীর গেট থেকে ফার্মগেইট পর্যন্ত দুই কিলোমিটার লাইন মাটির নিচে নেওয়া হয়েছে। এরই ধারবাহিকতায় শনিবার বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল আঙিনায় দুটি ১১ কেভি রিং মেইন ইউনিট (আরএমইউ) চালু করা হয়েছে। যেখানে ডিপিডিসির মনিপুরী পাড়া ৩৩/১১ কেভি উপকেন্দ্র থেকে ১১ কেভি আন্ডারগ্রাউন্ড ক্যাবলের মাধ্যমে সংযোগ দেওয়া হয়েছে।এই কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডিপিডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী বিকাশ দেওয়ান। অনুষ্ঠানে ডিপিডিসির কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ডিপিডিসি জানায়, অধিকতর নির্ভরযোগ্য ও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সুবিধা প্রদানের লক্ষ্যে পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট আন্ডার ডিপিডিসি এরিয়া শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় বঙ্গভবন থেকে জাহাঙ্গীরগেট এবং গাবতলী থেকে আজিমপুর পর্যন্ত বিদ্যমান ওভারহেড বিদ্যুৎ বিতরণ লাইনকে আন্ডারগ্রাউন্ডে লাইনে রূপান্তর করা হবে। এই কাজের অংশ হিসেবে বঙ্গভবন থেকে জাহাঙ্গীরগেট পর্যন্ত১৯ কিলোমিটার প্রধান সড়কের দুই পাশে এবং গাবতলী থেকে আজিমপুর পযন্ত ১০ কিলোমিটার প্রধান সড়কের দুই পাশে ওভারহেড বিতরণ নেটওয়ার্ক আন্ডারগ্রাউন্ড বিতরণ নেটওয়ার্কে রূপান্তরের জন্য কিয়োস্ক ট্রান্সফরমার, রিং মেইন ইউনিট (আরএমইউ), লো টেনসন ডিস্ট্রিবিউশন বপ (এলটিবি) স্থাপন করা হবে।জাহাঙ্গীর গেট থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত ২২টি আরএমইউ, ১৯টি এলটিবি এবং ৪টি কিয়োস্ক ট্রান্সফরমার স্থাপন করা হবে। এই কাজ বাস্তবায়নে ডিপিডিসির প্রায় ৩০০ কোটি টাকা ব্যয় হবে। কাজটি চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সিএনটিআইসি এবং এসপিআইটিসি যৌথভাবে বাস্তবায়ন করচ্ছে।ডিপিডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকাশ দেওয়ান বলেন, আন্ডারগ্রাউন্ড কাজ বাস্তবায়িত হলে প্রধান সড়কের দু পাশের স্থাপনাগুলোর বিদ্যুৎ সরবরাহ অধিকতর নিরবচ্ছিন্ন নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। এতে শহরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে।