রাজশাহীতে এক শিশুকে (১০) একসঙ্গে চার ডোজ টিকা প্রয়োগ করা হয়েছে। তিন ডোজ টিকা শিশুটিকে আগেই দেওয়া হয়েছে। চতুর্থ ডোজের টিকা দেওয়ার জন্য শিশুটিকে টিকা কেন্দ্রে নেওয়া হয়। এ ঘটনার পর শিশুটির বাবা জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯–এ ফোন করে পুলিশ ডাকেন। রোববার ঘটনাটি ঘটেছে রাজশাহী নগরের নিউ কলোনি এলাকায়।রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) স্বাস্থ্য বিভাগের ব্যবস্থাপনায় নগরীতে ইপিআই কেন্দ্রে এ টিকা প্রয়োগ করা হয়। অতিরিক্ত টিকা প্রয়োগের ঘটনায় রাজশাহী সিটি করপোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগের মাঠকর্মী জোসনা, শিল্পী, তহমিনা ও সুপারভাইজার আজাহার আলীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।শিশুটির পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সকাল সাড়ে ১০টায় নগরের ছোট বনগ্রাম এলাকার শেখ রাসেল শিশুপার্কের পাশে আরবান ক্লিনিকে সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) আওতায় সুমাইয়া খাতুন নামে ওই শিশুকে টিকা দিতে নিয়ে গিয়েছিলেন তার মা মৌসুমী।কিন্তু গল্পের ছলে স্বাস্থ্যকর্মীরা ভুল করে সুমাইয়াকে চার ডোজ টিকা দিয়েছেন। তার মধ্যে তিনটি ডোজ পুনরায় দেওয়া পড়েছে বলে অভিযোগ করেছেন শিশুটির বাবা সাদ্দাম হোসেন।তিনি বলেন, বাচ্চাকে বাড়িতে নিয়ে আসার পর তার শরীর খারাপ হতে দেখে তিনি সন্দেহ করেন। টিকার কার্ড দেখে তিনি বুঝতে পারেন, তাকে ভুল করে অতিরিক্ত টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে।
তখনই তিনি ওই টিকাকেন্দ্রে ছুটে যান। কিন্তু স্বাস্থ্যকর্মীরা মোটেও পাত্তা দিচ্ছিলেন না। বাধ্য হয়ে তিনি ৯৯৯;এ ফোন করে পুলিশ ডাকেন। খবর পেয়ে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌহিদুল হক আসেন। তাদের সামনে স্বাস্থ্যকর্মীরা স্বীকার করেন, ভুল করে টিকার ডাবল ডোজ দিয়ে ফেলেছেন।সুমাইয়ার বাবা সাদ্দাম হোসেন জানান, সুমাইয়াকে গত বছরের ২৩ জুন ইপিআইয়ের টিকার তৃতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছিল। গত ১২ ডিসেম্বর চতুর্থ ডোজ দেওয়ার কথা ছিল। তখন রাজশাহীতে না থাকায় টিকা দেওয়া হয়নি। বুধবার শিশুকে নিয়ে যাওয়া হলে অতিরিক্ত টিকা দেওয়া হয়। এখন সুমাইয়ার গায়ে জ্বর এসেছে বলেও জানান তিনি।টিকা প্রদান কর্মসূচির সুপারভাইজার আজাহার আলী বলেন, ঘটনার সময় তিনি কেন্দ্রে ছিলেন না। তবে স্বাস্থ্যকর্মী রেজিস্টার ও ট্যাব না দেখে বাচ্চাটিকে ভুল করে টিকা দিয়েছেন বলে তিনি শুনেছেন।এ বিষয়ে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা এফ এ এম আঞ্জুমান আরা বেগম বলেন, ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আপাতত চারজনকে কারণ দর্শানোর চিঠি দেওয়া হয়েছে।
