তীব্র তাপপ্রবাহ: ৭ দিন স্কুল বন্ধের দাবি ভেজাল নকল পণ্যে সর্বনাশতাপমাত্রা আরও বাড়তে পারেতাপপ্রবাহ আরও কত দিন থাকবে জানালো আবহাওয়া অধিদপ্তরচুয়াডাঙ্গায় হিট অ্যালার্ট জারি
No icon

শুধু পাথর আমদানিতেই সীমাবদ্ধ নাকুগাঁও স্থলবন্দর

পূর্ণাঙ্গ স্থলবন্দর হলেও মাত্র একটি পণ্য আমদানিতেই সীমাবদ্ধ শেরপুরের নাকুগাঁও স্থলবন্দর। ১৮টি অনুমোদিত পণ্য আমদানির কথা থাকলেও শুধু পাথর আমদানি কার্যক্রম চলছে এই বন্দরে। এতে মুখ থুবড়ে পড়েছে বন্দরের কার্যক্রম। আগ্রহ হারাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। বেকার হয়ে পড়ছেন শ্রমিকরা।তবে বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, ভুটান-ভারত-বাংলাদেশ ত্রিদেশীয় বাণিজ্য সমঝোতা চুক্তি হলে আবারও ঘুরে দাঁড়াবে নাকুগাঁও স্থলবন্দর।৩৩ বছর বন্ধ থাকার পর ১৯৯৭ সালে দেশের উত্তর সীমান্তবর্তী শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী উপজেলার নাকুগাঁও ইমিগ্রেশন চেকপোস্টসহ বন্দরটি প্রথমে স্থল শুল্কবন্দর হিসেবে চালু হয়। কয়লা আমদানির মধ্যদিয়ে এই বন্দর বেশ চাঙা হয়ে ওঠে। সৃষ্টি হয় কয়েক হাজার মানুষের কর্মসংস্থান। কিন্তু ২০০২ সালে এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এ বন্দর দিয়ে কয়লা ও পাথর ছাড়া সব পণ্য আমদানি বন্ধ হয়ে যায়।

২০০৯ সালের ১২ ডিসেম্বর তৎকালীন নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান বন্দরটি পরিদর্শন করে এটিকে পূর্ণাঙ্গ স্থলবন্দর হিসেবে চালুর ঘোষণা দেন। এরপর ২০১১ সালের ৩১ ডিসেম্বর তিনি নাকুগাঁও এলাকায় পূর্ণাঙ্গ বন্দরের অবকাঠামোর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের পর প্রায় সাড়ে ১৩ একর জমির ওপর ১৬ কোটি ১৯ লাখ টাকা ব্যয়ে এর অবকাঠামো নির্মাণ হয়।সম্ভাবনাময় এ বন্দরটিকে ২০১৫ সালে পূর্ণাঙ্গ স্থলবন্দর হিসেবে ঘোষণা করা হয়। প্রায় সাড়ে ১৬ কোটি টাকা ব্যয়ে গড়ে তোলা হয় ওয়্যারহাউজ, কাস্টমস ভবনসহ অভ্যন্তরীণ উন্নয়ন কাজ। যোগাযোগ সহজ করতে আড়াইশ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় ২৯ কিলোমিটার পাকা সড়ক। আমদানির অনুমতি দেওয়া হয় পাথর ও কয়লাসহ প্রচলিত ও অপ্রচলিত ১৮টি পণ্যের। তবে দীর্ঘ আট বছরে বন্দরের শুধুমাত্র অবকাঠামোগত উন্নয়ন হলেও পূর্ণাঙ্গ স্থলবন্দরের সুবিধা পাচ্ছেন না এখানকার আমদানিকারকরা। শুধু পাথর আমদানি আর মানুষ পারাপারের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়েছে এ বন্দরের কার্যক্রম।