ভারতে লোকসভা নির্বাচনের ভোট শুরুব্যাংক আলফালাহর ব্যবসা অধিগ্রহণ করবে ব্যাংক এশিয়াআজ এক ঘণ্টা বন্ধ থাকবে ইন্টারনেট সেবাথাইল্যান্ড সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রীআনাড়ি হাতে ২০ টন ট্রাক, ফের সড়কে ঝরল ১৪ প্রাণ
No icon

কী বার্তা দিল নির্বাচন কমিশন

অর্ধশতাধিক কেন্দ্রে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগে গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনে গতকাল বুধবার ভোটগ্রহণ বন্ধ করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর এটিই ছিল তাদের প্রথম সংসদীয় আসনের নির্বাচন অনুষ্ঠান এবং এমন একটি নির্বাচন বন্ধ করে দেওয়ার ঘটনাও দেশে এবারই প্রথম ঘটল। এ ঘোষণার পর সংশ্লিষ্ট অনেকের মনেই প্রশ্ন জেগেছে, এর মধ্য দিয়ে কি বার্তা দিল ইসি?

এদিকে ইসির এ সিদ্ধান্তকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল সাধুবাদ জানানোর পাশাপাশি সরকারের দিকে ছুড়ে দিয়েছে সমালোচনার তীর। অন্যদিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নির্বাচন বন্ধের প্রতিবাদে বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ-মিছিল করেছে; দলটির বেশ কয়েকজন নেতা ইসির সমালোচনাও করেছেন।গতকাল বেলা আড়াইটার দিকে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল নির্বাচন বন্ধের ঘোষণা দেন।এ সময় তিনি বলেন, ;নির্বাচন কমিশন কার্যালয় থেকে সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে গাইবান্ধা-৫ আসনের ভোটকেন্দ্রের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেছে কমিশন। তিনি যোগ করেন, আমাদের কাছে মনে হয়েছে, ভোট গ্রহণ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। কোনো একটি পক্ষ বা কোনো একজন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী প্রভাবিত করতে পারছেন। ফলে, আমাদের দৃষ্টিতে মনে হয়েছে, ভোট গ্রহণ নিরপেক্ষ হচ্ছে না।সিইসি বলেন, সকাল আটটা থেকে নিরবচ্ছিন্নভাবে নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা সিসিটিভিতে ভোটকেন্দ্রের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নির্বাচন কমিশনের পদস্থ কর্মকর্তারা সিইসিকে অনেক কেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার কথা জানান।

সিইসি আরও বলেন, আরপিও ৯১ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ভোট নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠুভাবে হতে হবে। কমিশন যদি মনে করে নির্বাচন সঠিকভাবে হচ্ছে না, তা হলে একটি কেন্দ্র বা সব কেন্দ্রে নির্বাচন বন্ধ করার দায়িত্ব কমিশনকে দেওয়া হয়েছে। সেই বিধানের আলোকে আমরা সিদ্ধান্ত নিচ্ছি।জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি)-এর সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেছেন, এই উপনির্বাচনে নির্বাচন কমিশনকে অসহযোগিতা করে সরকার সাংবিধানিক কর্তব্য পালনে ব্যর্থ হয়েছে। তিনি বলেন, একটিমাত্র উপনির্বাচনে ভোটারদের নিরাপত্তা দিতে কয়েক প্লাটুন র;্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন, আনসার সদস্য ছাড়াও ১২৮৫ জন পুলিশ সদস্য দায়িত্বে থাকার পরও নির্বাচনে কারচুপি ফেরানো যায়নি। তা হলে ৩০০ আসনের নির্বাচনে ভোটারদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে সরকার অক্ষম।গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা-ফুলছড়ি) আসনের উপনির্বাচনে মোট ভোটার ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৯৮ জন। আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মাহমুদ হাসান, জাতীয় পার্টির (জাপা) মনোনীত এ এইচ এম গোলাম শহীদসহ উপনির্বাচনে পাঁচ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ১৪৫টি কেন্দ্রে ৯৫২টি বুথে ভোটগ্রহণ করার কথা ছিল ইভিএমের মাধ্যমে।