তাপপ্রবাহের কারণে স্কুল-কলেজ বন্ধ ঘোষণাতীব্র তাপপ্রবাহ: ৭ দিন স্কুল বন্ধের দাবি ভেজাল নকল পণ্যে সর্বনাশতাপমাত্রা আরও বাড়তে পারেতাপপ্রবাহ আরও কত দিন থাকবে জানালো আবহাওয়া অধিদপ্তর
No icon

ভোট বন্ধের বিকল্প কী ছিল

গাইবান্ধার উপনির্বাচন বন্ধের ঘটনায় দেশজুড়ে বইছে আলোচনার ঝড়। রাজনৈতিক মহল থেকে শুরু করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং পাড়া-মহল্লার চায়ের স্টলেও চলছে একই আলোচনা। নির্বাচন কমিশন (ইসি) কীভাবে এত বড় সিদ্ধান্ত নিল; এতে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি হবে কিনা- সে প্রশ্নও আলোচিত হচ্ছে বারবার।ইসি-সংশ্নিষ্টরা বলছেন, অনেক বছর ধরে দেশে নির্বাচন মানেই ছিল একতরফা বিজয় আর প্রকাশ্যে জাল-জালিয়াতির ঘটনা। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হলেও বিরোধী রাজনৈতিক দল আর সাধারণ মানুষের কাছে ইসির বিশ্বাসযোগ্যতা অনেক আগেই তলানিতে পৌঁছে গেছে। আন্তর্জাতিক মহল থেকে শুরু করে দেশের সুশীল সমাজ এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে ইসিকে নানা পরামর্শ দিয়ে আসছিল। কিন্তু কেউ কখনও মনে করেনি, ইসি কারও পরামর্শ আমলে নিচ্ছে। কিন্তু হঠাৎ কী এমন ঘটল যে, ইসি এতটা কঠোর সিদ্ধান্ত নিল?

যদিও নির্বাচন বিষয়ে বিশেষজ্ঞ অনেকেই বর্তমান ইসির এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত এবং সাধুবাদ জানিয়েছেন; তাঁরা বলছেন, মাঠ প্রশাসন ইসির নিয়ন্ত্রণে ছিল না। ফলে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের পক্ষ থেকে পাওয়া অভিযোগের কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়াও সম্ভব হয়নি। সর্বশেষ ভোটের দিন সিসিটিভিতে স্বচক্ষে অনিয়ম আর জাল-জালিয়াতি দেখে এ সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে ইসি।তবে উল্টো সমালোচনাও রয়েছে ইসির বিরুদ্ধে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে প্রশ্ন তোলা হয়েছে- দূর থেকে সিসিটিভির ফুটেজ দেখে ভোট বন্ধের সিদ্ধান্ত কতটা যৌক্তিক। এ ছাড়াও আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আরও একটি দাবি উঠেছে। তারা বলছে, অনিয়মের অভিযোগে ৫১টি কেন্দ্র বন্ধ করা হলেও বাকি কেন্দ্রগুলোর ভোট কেন বন্ধ করা হলো? বাকি কেন্দ্রগুলোতে ভোট সুষ্ঠু হয়েছে বলে প্রিসাইডিং কর্মকর্তারা তাদের কাছে লিখিত দিয়েছেন। এমন অনেক প্রিসাইডিং কর্মকর্তার সই করা কপি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হতে দেখা গেছে।

নির্বাচন বন্ধের কারণ ব্যাখ্য করে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ইসির নিয়ন্ত্রণ কক্ষে বসে তাঁরা দেখতে পেয়েছেন, তিনটি কেন্দ্রের ভোটকক্ষে প্রার্থীর পুরুষ এজেন্টরা একই রকম গেঞ্জি এবং বুক ও পিঠে প্রতীক প্রিন্ট করা, নারী এজেন্টরা একই রকম শাড়ি পরা। এটা পুরোপুরি আচরণবিধি লঙ্ঘন। এই এজেন্টরা ছাড়াও আরও অনেক অবৈধ লোকজন ভোটকক্ষে অবস্থান করে ভোটাদের প্রভাবিত করছেন। ভোটের গোপন কক্ষে প্রবেশ করে নিজেই ভোট দিয়ে দিচ্ছেন। এমনকি ভোট গ্রহণকারী কর্মকর্তাদের মধ্যে কেউ কেউ একই কাজ করছেন।সিইসি বলেন, এমন পরিস্থিতিতে কমিশন থেকে ফোন দিয়ে ভোটকক্ষের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্য নির্দেশ দেওয়া হলেও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। তখন ওই তিন কেন্দ্রের ভোট স্থগিতের নির্দেশ দেওয়া হয়। একে একে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত ৫০টি কেন্দ্রের পরিস্থিতি একই দেখা যায়। ইতোমধ্যে রিটার্নিং অফিসার নিজেও একটি কেন্দ্রের ভোট স্থগিত করে দেন।