ইউক্রেনকে দূরপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রআগামীকাল ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফা ভোটগ্রহণশপথ নিলেন আপিল বিভাগের ৩ বিচারপতিহিট অ্যালার্ট আরও তিন দিন বাড়তে পারেরাঙামাটিতে সড়ক ও নৌপথে অবরোধ চলছে
No icon

সমন্বয়হীনতায় চরম বিপাকে চাকরিপ্রার্থীরা

চাকরি প্রার্থীরা নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিতে গিয়ে চরম বিপাকে পড়ছেন। একই দিনে একাধিক সরকারি প্রতিষ্ঠান এই পরীক্ষার আয়োজন করায় চাকরিপ্রত্যাশীরা এসব পরীক্ষায় অংশ নিতে পারছেন না। এতে তাদের মৌলিক অধিকার ক্ষুণ্ন হচ্ছে বলে মনে করছেন আইনজ্ঞরা। চাকরি প্রার্থী ও তাদের অভিভাবকরা বলছেন, চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সমন্বয়হীনতার কারণেই এই সমস্যা তৈরি হয়েছে। এতে প্রার্থীর অর্থ ও শ্রম উভয়ই নষ্ট হচ্ছে।চলমান করোনা মহামারির কারণে দীর্ঘদিন ধরে দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ ছিল। করোনার প্রকোপ কমার সঙ্গে সঙ্গে আবারও গতি এসেছে নিয়োগ প্রক্রিয়ায়। কিন্তু গতি কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে চাকরি প্রার্থীদের কাছে। এক প্রার্থী একাধিক প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষা দেওয়ার জন্য আবেদন করলেও একই দিনে একাধিক পরীক্ষা আয়োজন করায় মাত্র একটি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। এতে চাকরিপ্রত্যাশীরা ভোগান্তিতে পড়ছেন। একই দিনে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ পরীক্ষা থাকায় অংশ নিতে পারছেন না তারা। প্রার্থীর অভিভাবকরা মনে করেন, যদি কেন্দ্রীয়ভাবে সমন্বয় করে প্রতিষ্ঠানগুলো নিয়োগ পরীক্ষার আয়োজন করত তাহলে এই সমস্যায় পড়তে হতো না।

রেওয়াজ অনুযায়ী, সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার ও শনিবার চাকরির পরীক্ষাগুলো বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নেওয়া হয়। কারণ অধিকাংশ ক্ষেত্রে এই দুই দিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ক্লাস-পরীক্ষা থাকে না। কিন্তু একই দিন অনেকগুলো নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়ায় প্রার্থীরা ভোগান্তিতে পড়বেন কি না, সে বিষয়টি ভাবে না কর্তৃপক্ষ। ফলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে প্রার্থীদের।শুক্রবার একই দিনে মোট ১৪টি প্রতিষ্ঠানের চাকরির পরীক্ষা আয়োজন করা হয়। এর মধ্যে কয়েকটি পরীক্ষা পড়েছে একই সময়ে। এর আগে গত ১৭ সেপ্টেম্বর ২১টি সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান নিয়োগ পরীক্ষার আয়োজন করেছিল।আজিজুল ইসলাম নামে এক চাকরি প্রার্থী জানান, গতকাল শুক্রবার আমার একসঙ্গে তিনটি পরীক্ষা পড়েছে। আমাদের একটি চাকরির আবেদনে ৪০০ থেকে ৮০০ টাকা খরচ হচ্ছে। কিন্তু এক দিনেই একাধিক পরীক্ষা পড়ে যাওয়ায় একটার বেশি পরীক্ষা দেওয়া যাচ্ছে না। পরীক্ষা দিতে না পারায় চাকরির সুযোগও কমে যাচ্ছে। এতে অনেক টাকাও গচ্চা যাচ্ছে।

রফিকুল ইসলাম নামে অপর এক প্রার্থী বলেন, আমি ১৫টি প্রতিষ্ঠানের চাকরির আবেদন করে বসে আছি। অথচ দিতে পারছি দুই-চারটা। গত শুক্রবারও একই অবস্থা হয়েছে। আগামী শুক্রবারও একই অবস্থা হবে। এখন কোনটা রেখে কোনটার পরীক্ষা দেব, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। বিসিআইসি কলেজের সামনে চাকরিপ্রত্যাশী আসমা আক্তার বলেন, করোনার সময় অনেক কষ্টে আমরা আবেদন করেছি। আর এখন এক দিনে চারটা পরীক্ষা থাকায় তিনটা পরীক্ষা দিতে পারছি না। আমাদের টাকা, সুযোগ দুটিই নষ্ট হচ্ছে।