দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে তরুণদের নিরুদ্দেশ হয়ে যাওয়া ভাবাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে। এদের অনেকে বিভিন্ন মাধ্যমে জড়িয়ে গেছেন জঙ্গিবাদে। কেউ ফিরে এসেছেন, কেউ হয়েছেন গ্রেফতার। অনেকে এখনো নিখোঁজ। জঙ্গিবাদ সংশ্লিষ্টতায় গ্রেফতার নিয়মিত ঘটনা। হলি আর্টিসান রেস্তোরাঁয় হামলাসহ বেশ কয়েকটি ঘটনায় নিহতও হয়েছেন অনেক জঙ্গি। এরপর বেশ কিছুদিন বড় কোনো হামলার ঘটনা না ঘটলেও থেমে নেই জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ-তৎপরতা। পাহাড়ে প্রশিক্ষণ নেওয়াসহ হামলার পরিকল্পনাকারী অনেক জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। জাতীয় সংসদ নির্বাচন কেন্দ্র করে ২০২৩ সালে রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে হামলা চালাতে পারে বলে তথ্য বেরিয়ে এসেছে গ্রেফতার জঙ্গিদের কাছ থেকে।আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দাবি, দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে নিরুদ্দেশ হওয়া তরুণের সংখ্যা পঞ্চাশোর্ধ্ব। দেড় মাস থেকে দুই বছরের বেশি সময় ধরে নিখোঁজ এসব তরুণ।পার্বত্য চট্টগ্রামে দুর্গম অঞ্চলে বিভিন্ন জঙ্গি">পার্বত্য চট্টগ্রামে দুর্গম অঞ্চলে বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের ছত্রচ্ছায়ায় আত্মগোপনে থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে সংগঠনের কার্যক্রম পরিচালনা করছেন তারা। দীর্ঘদিন ধরে তাদের নিখোঁজ থাকার বিষয়টি উদ্বেগ ও আশঙ্কার। বড় হামলার প্রস্তুতি হিসেবে জঙ্গিরা এখন এককভাবে হামলার চেষ্টা করছে। সম্প্রতি র ;্যাব যাদের গ্রেফতার করেছে ২০২৩ সালের নির্বাচন কেন্দ্র করে তাদের টার্গেট ছিল বলে জানা যায়।
উগ্রবাদে উদ্বুদ্ধ হয়ে দুই দফায় নিরুদ্দেশ হওয়া ছয় তরুণসহ নিরুদ্দেশ হওয়া ছয় তরুণসহ মোট ১২ জনকে গ্রেফতারের পর র;্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) বলছে, অন্তত ৫৫ জন কথিত হিজরতের নামে বাড়ি থেকে নিরুদ্দেশ হয়েছেন। যাদের মধ্যে ৩৮ জন অবস্থান করছেন পার্বত্য চট্টগ্রামের দুর্গম এলাকায়। এদের অনেকে সশস্ত্র প্রশিক্ষণ ও বোমা বিস্ফোরণের প্রশিক্ষণ নিয়েছেন।দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বাকি এখনো বছরখানেক। এরই মধ্যে দেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নিয়মিত রাজনৈতিক কর্মসূচি চলছে। প্রতিদিনই দেশের কোথাও না কোথাও দু পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া কিংবা সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটছে। আগামীতে রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরও অস্থিতিশীল হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা।