NEWSTV24
এশিয়ার নতুন স্নায়ুযুদ্ধ এবং রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী
শনিবার, ০৩ অক্টোবর ২০২০ ১৫:৩০ অপরাহ্ন
NEWSTV24

NEWSTV24

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে একদিকে রোহিঙ্গা নির্যাতন, জাতিগত নির্মূল অভিযান, পরিকল্পিত গণগত্যা; অন্যদিকে আইনের শাসনের প্রশ্ন। এই দুই বিষয়ের মাঝখানে অবস্থান করছে মিয়ানমার। শীর্ষস্থানীয় একজন আইনজীবীর মতে, এসব আমাদের যৌথ চৈতন্য ও মানবতাবোধের ওপর একটা কলঙ্কের দাগ।কেন এসব হত্যাকাণ্ড ঘটছে এবং বিভিন্ন ধরনের বর্বরতা চলমান রয়েছে! অপরাধীরা তো পার পেয়ে যাচ্ছে।এই প্রশ্নের সম্ভাব্য কিছু উত্তর আছে। মিয়ানমার অর্থাৎ সাবেক বার্মা হয়তো গরিব দেশ; বিচ্ছিন্ন ও একঘরে। আন্তর্জাতিক দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য যথেষ্ট মাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্র নয়। পশ্চিমা অবচেতনে হয়তো অদেখা, অজানা, বাদামি চামড়ার মুসলিম সংখ্যালঘুদের জীবন তেমন গুরুত্ব বহন করে না; বিশেষ করে বহুমাত্রিক জাতিগত, গোষ্ঠীগত ও আশ্রয়ের সংকটের এই সময়ে।

মিয়ানমার আবার সূচনাবিন্দুতে ফিরেছে। সরকার এখন তাতমাদোর প্রধান পৃষ্ঠপোষক। চীনের প্রেসিডেন্ট চিনপিং জানুয়ারিতে মিয়ানমার সফর করেছেন। তাঁর বক্তব্য পরিষ্কার : মিয়ানমারকে তিনি চীনের আরো কাছে নিতে চান; মার্কিন, ভারতীয় ও ইউরোপীয়দের দূরে রাখতে চান।মিয়ানমারের শাসকরা চীনের কঠোর আলিঙ্গনের অর্থ যে জানেন না তা নয়; কিন্তু চীনের ভেটো ক্ষমতা তাতমাদোর জেনারেলদের নিশ্চিন্ত রাখবে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ মানবাধিকার প্রশ্নে চীনকে কঠিন চাপ দেওয়ার সাহস রাখে না; তাতে ব্যাবসায়িক ক্ষতি। তারা এশিয়ার রঙ্গমঞ্চে একটা ঘুঁটি হারাতে চায় না।কাজেই হত্যাকাণ্ড চলছে। অন্যায় কাজের বিস্তৃতি বাড়ছে। এ ব্যাপারে পুরনো একটি কথা মনে পড়ে : শক্তিধররা বরাবরই আইন ও মানবিকতাকে ট্রাম্প কার্ড হিসেবে ব্যবহার করে।