NEWSTV24

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে চলমান কঠোর বিধিনিষেধ কিছুটা শিথিল করে সময় বাড়ানোর চিন্তা করছে সরকার। এ নিয়ে মঙ্গলবার সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এতে সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।মঙ্গলবার সকাল ১১টায় মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে অনলাইনে এ সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে ১২ জন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী, ১৬ জন সচিব, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার, পুলিশ মহাপরিদর্শক, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, আইইডিসিআর পরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অংশ নেবেন।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ৬ আগস্ট থেকে সরকারি-বেসরকারি অফিস সীমিত পরিসরে খোলার সিদ্ধান্ত আসতে পারে। এরপর পর্যায়ক্রমে দোকানপাট, হোটেল-রেস্তোরাঁ ও গণপরিবহন চালু করা হবে।এদিকে ৫ আগস্টের পর বিধিনিষেধ তুলে দিয়ে সব দোকানপাট ও হোটেল-রেস্তোরাঁ খুলে দেওয়ার দাবি করেছে বাংলাদেশ দোকান ও রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি। তাদের ভাষ্য, তারা ক্ষতির চূড়ান্ত সীমায় পৌঁছে গেছেন। আরও লকডাউন দেওয়া হলে দেশের অর্থনীতি ভেঙে পড়বে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক কর্মকর্তা জানান, লকডাউন শিথিল করা হলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়ে কঠোর নজরদারি করা হবে। গ্রামে গ্রামে গণটিকা কর্মসূচি চলবে।করোনার সংক্রমণ রোধে ১ জুলাই থেকে শুরু হওয়া কঠোর লকডাউন ১৫ জুলাই ঈদের জন্য শিথিল হয়। আট দিন পর ২৩ জুলাই থেকে কঠোরতম বিধিনিষেধ চলছে, যা আগামী ৫ আগস্ট পর্যন্ত চলবে। বিশেষজ্ঞরা লকডাউন আরও ১০ দিন বাড়াতে পরামর্শ দিয়েছেন। তবে মালিকদের দাবিতে ১ আগস্ট থেকে রপ্তানিমুখী কলকারখানা খোলার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে সরকার।