NEWSTV24
‘লঞ্চটি ছাড়ার অনুমোদন যিনি দিলেন, উচিত ছিল তাকে গ্রেপ্তার করা’
বুধবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২১ ১৮:৪৫ অপরাহ্ন
NEWSTV24

NEWSTV24

দেশের অভ্যন্তরীণ সব নৌযানের ফিটনেস, রুট পারমিট, লাইসেন্স ও নিরাপত্তাসামগ্রীসহ হালনাগাদ তথ্য চেয়েছেন হাইকোর্ট। ৯০ দিনের মধ্যে এসব তথ্য দাখিলের জন্য নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় এবং বিআইডব্লিউটিএর সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।গতকাল মঙ্গলবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের অবকাশকালীন বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন। এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় করা দুটি রিটের প্রাথমিক শুনানিতে হাইকোর্ট এ আদেশ দেন। এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় হতাহতদের তালিকাও চেয়েছেন হাইকোর্ট। আহতদের মধ্যে কেউ চিকিৎসায় অর্থ-সাহায্যের আবেদন করলে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসককে তা বিবেচনা করতে বলা হয়েছে।অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় গঠিত সব তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন আগামী ৩০ দিনের মধ্যে দাখিলের নির্দেশও দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া লঞ্চ দুর্ঘটনা রোধে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করেছেন আদালত। স্বরাষ্ট্র সচিব, নৌপরিবহন সচিব, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বিআইডব্লিওটিএর চেয়ারম্যান এবং লঞ্চের মালিক হামজালালসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে হবে।

রিটের শুনানিকালে আদালত রুল জারি করতে চাইলে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার বলেন, লঞ্চ দুর্ঘটনায় সরকারের তো কোনো নিষ্ক্রিয়তা নেই। তখন আদালত প্রশ্ন বলেন, আপনি বলছেন নিষ্ক্রিয়তা নেই? আপনার অফিসের (বিআইডব্লিউটিএ) কর্মকর্তারা না দেখেই তো লঞ্চের ক্লিয়ারেন্স দিয়েছেন। বিআইডব্লিউটিএর এক্ষেত্রে কি দায়িত্ব ছিল না? যে নৌ-কর্মকর্তা ফিটনেস পরীক্ষা ছাড়াই লঞ্চটি চলাচলের অনুমোদন দিয়েছেন, তাকে আগে অ্যারেস্ট করা উচিত ছিল।আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার অনিক আর হক ও ইউনুছ আলী আকন্দ। এর আগে ২৭ ডিসেম্বর সব নৌযানের ইঞ্জিনের বিষয়ে যাবতীয় তথ্য চেয়ে রিট করা হয়। সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী সৌমিত্র সরদার এ রিট করেন। অপরদিকে ২৬ ডিসেম্বর আরও একটি রিট করেন আইনজীবী ইউনুস আলী আকন্দ। সেখানে নিহতদের আপাতত ১০ লাখ ও আহতদের ৫ লাখ টাকা করে তাৎক্ষণিক ক্ষতিপূরণ দিতে বলা হয়।