NEWSTV24
সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী থাকতে পারে আরও এক মাস
মঙ্গলবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২২ ১৬:১১ অপরাহ্ন
NEWSTV24

NEWSTV24

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এবং মৃত্যু আরও এক মাস ঊর্ধ্বমুখী থাকবে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাভাইরাস ব্যবস্থাপনা কোর কমিটি ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা এমন পূর্বাভাসই দিয়েছেন। আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি অথবা তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত এ ধারা অব্যাহত থাকবে। এরপর সংক্রমণ ও মৃত্যু ধাপে ধাপে কমে আসতে শুরু করবে। তবে মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করলে তা আরও প্রলম্বিত হতে পারে।এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. এ এস এম আলমগীর বলেন, করোনাভাইরাসের বৈশ্বিক সংক্রমণ পরিস্থিতি পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, শনাক্ত হওয়া করোনার নতুন কোনো ভ্যারিয়েন্ট (ধরন) চার থেকে ছয় সপ্তাহ পর্যন্ত মারাত্মক সংক্রমণ ছড়ায়। কিন্তু চার থেকে ছয় সপ্তাহ পর সংক্রমণ ও মৃত্যু কমে আসতে শুরু করে। এটি ভাইরাসের বৈশিষ্ট্য। সুতরাং এ থেকে ধারণা করা যায়, চলমান সংক্রমণ ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি অথবা তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। এ সময়ে সংক্রমণ ও মৃত্যু আরও বাড়বে।ডা. আলমগীর আরও বলেন, আগের ধরনগুলোর তুলনায় ওমিক্রন অধিক সংক্রমণপ্রবণ। এটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। বর্তমানে ঢাকায় জোরালো সামাজিক সংক্রমণ চলছে। আবার ঢাকার বাইরে ডেলটার আধিক্য চলছে। তবে কয়েক দিনের মধ্যে গ্রামেও ওমিক্রন ছড়িয়ে পড়বে। সুতরাং সংক্রমণ অনেক বেশি হবে। হয়তো সেটি ডেলটার ভ্যারিয়েন্ট সংক্রমণকেও ছাড়িয়ে যাবে।

ডেলটা ভ্যারিয়েন্টের সময় গত বছর শনাক্তের হার ৩২ শতাংশ উঠেছিল। ওমিক্রনে শনাক্তের হার গতকাল ৩২ শতাংশ ছাড়িয়েছে। এটি আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি অথবা তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত বাড়তে পারে। তখন শনাক্তের হার বাড়তে পারে।সংক্রমণ বাড়ছে জ্যামিতিক হারে :ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে। গত বছরের ২০ ডিসেম্বর থেকে গতকাল সোমবার পর্যন্ত ৩৫ দিনে শনাক্তের হার ১ দশমিক ৩০ শতাংশ থেকে বেড়ে ৩২ শতাংশ ছাড়িয়েছে। গত বছরের ২১ সেপ্টেম্বর রোগী শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে নেমে এসেছিল। এর ১০৮ দিন পর গত ৭ জানুয়ারি শনাক্তের হার ৫ শতাংশের বেশি হয়। এরপর শনাক্তের হার আরও নিচে নামে। কিন্তু ১৮ দিন ধরে শনাক্তের হার ৫ শতাংশের বেশি আছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, শনাক্তের হার নূ্যনতম ১৪ দিন ধরে ৫ শতাংশের ওপরে থাকলে সেটি মহামারি হিসেবে বিবেচ্য হবে। সে হিসেবে দেশে এখন করোনা পরিস্থিতির মহামারি চলছে।