NEWSTV24
দীর্ঘ যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছেন পুতিন?
বৃহস্পতিবার, ১২ মে ২০২২ ১৪:৫৮ অপরাহ্ন
NEWSTV24

NEWSTV24

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমিরি পুতিন ইউক্রেনে দীর্ঘসময় ধরে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে সতর্ক করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দাপ্রধান এভ্রিল হাইনেস। যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস সদস্যদের উদ্দেশে এ কথা বলেন তিনি। ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা শুরুর পর দুই মাসের বেশি সময় গড়িয়েছে। হামলার প্রথম দিকে মস্কোর লক্ষ্য ছিল, ইউক্রেনকে নাৎসি প্রভাব থেকে মুক্ত করা ও নিরস্ত্রীকরণ। তবে পরে লক্ষ্যে পরিবর্তন আনা হয়। ক্রেমলিন জানায়, তাদের নতুন লক্ষ্য হবে পূর্ব ইউক্রেনের দনবাস অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নেওয়া।এরপর থেকেই পূর্ব ইউক্রেনে হামলা জোরদার করেছে রুশ বাহিনী। তবে দনবাসে রাশিয়া জয় পেলেও হামলা শেষ হবে না বলে মনে করছেন এভ্রিল হাইনেস। তিনি বলেন, আগামী কয়েক মাসে রাশিয়ার অভিযান গতি পেতে পারে এবং আরও অপ্রত্যাশিত হয়ে পড়তে পারে।

মার্কিন গোয়েন্দাপ্রধানের ভাষ্যমতে, রাশিয়ার এখনো কৃষ্ণসাগর সংলগ্ন অঞ্চল দখলের পরিকল্পনা রয়েছে। এমনটি হলে ক্রিমিয়া থেকে মলদোভার ট্রান্সনিসট্রিয়া অঞ্চল পর্যন্ত একটি স্থল করিডর তৈরি হবে। ২০১৪ সালে ইউক্রেনের ক্রিমিয়া দখল করে নেয় রাশিয়া। মলদোভার ট্রান্সনিসট্রিয়া অঞ্চলেও মস্কোর নিয়ন্ত্রণ রয়েছে।পুতিন রাশিয়ায় সামরিক আইন জারির পথে হাঁটতে পারেন বলেও মনে করছেন এভ্রিল হাইনেস। তবে যুদ্ধে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার নিয়ে তার ধারণা, রাশিয়ার অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়লেই কেবল পারমাণবিক হামলার অনুমতি দেবেন পুতিন।এদিকে রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় খারকিভের কাছে পাল্টা হামলায় পিছু হটেছে রুশ বাহিনী। শহরের উত্তর ও উত্তর-পূর্বে রুশ বাহিনীর কাছ থেকে কয়েকটি গ্রাম পুনর্দখল করে নিয়েছে ইউক্রেনীয় বাহিনী।বিশ্লেষকরা বলছেন, ইউক্রেনীয় বাহিনীর পাল্টা হামলায় রুশ বাহিনীর পিছু হটা যুদ্ধের গতিবেগ পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে। এতে অগ্রসর হওয়া রুশ বাহিনীর অবস্থান ধরে রাখা ঝুঁকিতে পড়েছে।

খারকিভ অঞ্চলে মূল ইউক্রেনীয় বাহিনীর সঙ্গে আছেন তথ্য কর্মকর্তা তেতিয়ানা আপাৎচেঙ্কো। তিনি জানান, ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহরটির উত্তরে গত কয়েকদিনে চারটি গ্রাম পুনর্দখল করে নিয়েছে ইউক্রেনীয় সেনারা।ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, ইউক্রেনীয় বাহিনীর সাফল্য দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় খারকিভে রুশ বাহিনীকে ক্রমে পিছু হটিয়ে দিচ্ছে। যুদ্ধ শুরুর পর থেকে শহরটিতে অবিরাম বোমাবর্ষণ করা হয়েছে। ভিডিও ভাষণে তিনি আরও বলেন, তবে আমি জনগণের প্রতি আহ্বান জানাতে চাই... যাতে অতিমাত্রায় আবেগ ছড়ানো না হয়। আমাদের অতিমাত্রায় নৈতিক চাপ দেওয়ার মতো পরিবেশ সৃষ্টি করা উচিত হবে না, যেখানে প্রতি সপ্তাহে এবং প্রতিদিন বিজয় প্রত্যাশিত হয়ে দাঁড়ায়।