NEWSTV24
বেড়ে গেছে ডিজেলের ব্যবহার
বুধবার, ২৭ জুলাই ২০২২ ১৪:৩৭ অপরাহ্ন
NEWSTV24

NEWSTV24

বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ রেখে ডিজেলের ব্যবহার কমানোর উদ্যোগ নেয় সরকার। বিদ্যুৎ উৎপাদন কমায় লোডশেডিং করে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হচ্ছে। সরকারের এই সিদ্ধান্ত হিতে বিপরীত হয়েছে। সংশ্নিষ্টরা বলছেন, গত এক সপ্তাহে দেশে ডিজেলের বিক্রি ২০-৩০ শতাংশ বেড়েছে। লোডশেডিংয়ের কারণে বাসাবাড়ি, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ও অনেক কারখানায় জেনারেটর চালানো হচ্ছে। এতেই মূলত ডিজেলের চাহিদা বেড়ে গেছে। বিপরীতে দেশে কমে আসছে মজুত। কারণ ডলার সংকটে ব্যাংকে ঋণপত্র (এলসি) খুলতে না পারায় তেল আমদানি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।পেট্রোল পাম্প মালিকরা বলছেন, গত এক সপ্তাহে ডিজেলের বিক্রি বাড়লেও বিতরণ কোম্পানির পক্ষ থেকে বরাদ্দ কামনোর কথা বলা হচ্ছে। আমদানি স্বাভাবিক না হলে গত মাসের চেয়ে ৩০ শতাংশ কম তেল পাম্পগুলোকে দেওয়া হতে পারে। পাম্প মালিকরা বলছেন, বরাদ্দ কমলে গ্রাহকও তেল কম পাবেন। ইতোমধ্যে রাজধানীর একটি ফিলিং স্টেশন নিজেদের উদ্যোগে গতকাল মঙ্গলবার মোটরসাইকেলে সর্বোচ্চ ৪০০ টাকার অকটেন এবং গাড়িতে সর্বোচ্চ ৩ হাজার টাকার ডিজেল/অকটেন বিক্রির নোটিশ টাঙিয়েছে।

জ্বালানি তেলের আমদানিকারক বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) এলসি সংকটে আমদানি বাধাগ্রস্ত হওয়ার কথা স্বীকার করলেও দেশের অভ্যন্তরে সরবরাহে ঘাটতি হচ্ছে না বলে জানিয়েছে। বিতরণ কোম্পানি পদ্মা, মেঘনা, যমুনার পক্ষ থেকেও তেল সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানানো হয়েছে। কোম্পানিগুলোর কর্মকর্তারা বলছেন, পাম্পগুলোতে চাহিদা অনুসারেই তেল দেওয়া হচ্ছে।দেশে সরবরাহ করা জ্বালানি তেলের ৭০ শতাংশ ডিজেল। সূত্র জানিয়েছে, এখন ডিজেল ৪ লাখ ৫ হাজার টন, ফার্নেস অয়েল প্রায় ৮২ হাজার ৮০০ টন, অকটেন মজুত আছে ১৪ হাজার ৩০০ টন, জেট ফুয়েল ৫৮ হাজার ৭০০ টন, পেট্রোল প্রায় ১৭ হাজার ৬০০ টন এবং কেরোসিন ১৩ হাজার ৪০০ টন মজুত আছে। দেশে ডিজেলের মজুত ক্ষমতা ৬ লাখ টনের বেশি। অকটেন মজুত ক্ষমতা ৪৬ হাজার টন, পেট্রোল ৩২ হাজার টন, কেরোসিন ৪২ হাজার টন। আর ফার্নেস অয়েল মজুত রাখা যায় ১ লাখ ৫০ হাজার টন।পেট্রোল আর অকেটন বাদে বাকি জ্বালানি তেল প্রায় পুরোটাই আমদানিনির্ভর। পেট্রোল আর অকটেনের চাহিদার প্রায় পুরোটাই দেশে উৎপাদিত হয়।সীমান্ত এলাকায় পাচার রোধে চিঠি :এদিকে ডিজেল পাচারের শঙ্কায় সীমান্ত এলাকার পাম্পগুলোকে বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছে বিপিসি। সীমান্ত পেরিয়ে আসা পরিবহনগুলোতে তেল বিক্রি কমিয়ে আনতে বলা হয়েছে ।