NEWSTV24
আগামী বছর বিশ্বে মন্দার শঙ্কা
শনিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৫:০৭ অপরাহ্ন
NEWSTV24

NEWSTV24

করোনা মহামারীর অভিঘাত এবং ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বের বহু দেশে এখন তীব্র হয়েছে মূল্যস্ফীতি। যা মোকাবিলায় বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো প্রায় একই সময়ে বাড়িয়েছে সুদের হার। যার প্রতিক্রিয়ায় আগামী বছর বিশ্বে মন্দা পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বিশ্ব ব্যাংক। নতুন এক প্রতিবেদনে সংস্থাটি বলছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো একই সময়ে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ায় বিশ্বের সবচেয়ে বড় তিন অর্থনৈতিক অঞ্চল যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রবৃদ্ধির গতি অনেকটা ঢিমেতাল হয়ে এসেছে। এ অবস্থায় আগামী বছর বিশ্ব অর্থনীতি সামান্য ঝাঁকি খেলেও তা বিশ্ব মন্দার কারণ হতে পারে।, ১৯৭০ সালের মন্দার ধকল কাটিয়ে ওঠার পর এবারই প্রথম বিশ্ব প্রবৃদ্ধির চাকা এত দ্রুত গতি হারিয়েছে। অর্থনীতির গতি সবচেয়ে ধীর হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের। এর আগের মন্দার আগে ভোক্তারা যেভাবে বাজারের ওপর থেকে আস্থা হারাচ্ছিলেন, এবার তার চেয়ে অনেক দ্রুত গতিতে আতঙ্ক ছড়িয়েছে বাজারে। দেশে দেশে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো যেভাবে একসঙ্গে সুদের হার বাড়িয়ে দিয়েছে, শুধু সেই চেষ্টায় হয়তো মূল্যস্ফীতির হারকে মহামারীর আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে না।

এ বছর বিশ্বের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো একই সঙ্গে যে মাত্রায় সুদের হার বাড়িয়েছে, গত পাঁচ দশকে তা দেখা যায়নি। এই প্রবণতা আগামী বছর পর্যন্ত চলতে পারে। বিনিয়োগকারীরা মনে করছেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো ২০২৩ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী মুদ্রানীতিতে সুদের হার প্রায় ৪ শতাংশে উন্নীত করবে, যা ২০২১ সালের গড় তুলনায় ২ শতাংশ পয়েন্টের বেশি।বিশ্ব ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ডেভিড ম্যালপাস বলেন, বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি দ্রুত কমে যাচ্ছে। বিভিন্ন দেশ মন্দায় পড়ার কারণে তা আরও কমার সম্ভাবনা রয়েছে। আমার উদ্বেগ হলো, এই প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়ার প্রবণতা অব্যাহত থাকবে। এর দীর্ঘস্থায়ী ফল উদীয়মান বাজার ও উন্নয়নশীল অর্থনীতির মানুষের জন্য ধ্বংসাত্মক হয়ে উঠতে পারে। তাই মূল্যস্ফীতির নিম্ন হার, মুদ্রার স্থিতিশীলতা এবং দ্রুত প্রবৃদ্ধি অর্জনের জন্য নীতিনির্ধারকদের ব্যয় কমানো থেকে উৎপাদন বাড়ানোর দিকে মনোযোগ দিতে হবে। এ জন্য অতিরিক্ত বিনিয়োগ, উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি এবং মূলধন বরাদ্দের কৌশল নির্ধারণ করা উচিত। যা প্রবৃদ্ধি বাড়ানোর পাশাপাশি দারিদ্র্য হ্রাসের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।