NEWSTV24
ভোট কেনাবেচা শেষে তৎপর হলো ইসি
মঙ্গলবার, ২৫ অক্টোবর ২০২২ ১৫:৫৩ অপরাহ্ন
NEWSTV24

NEWSTV24

জেলা পরিষদের ভোট শেষ হয়েছে গত ১৭ অক্টোবর। কিন্তু থামেনি নির্বাচনের রেশ। ভোট বেচাকেনার বিষয়টি এখনও বিভিন্ন জেলায় আলোচিত বিষয়। এমন পরিস্থিতি প্রকাশ্যে শুরু হয়েছিল নির্বাচনের সপ্তাহখানেক আগে থেকে। যদিও নির্বাচনী আইনের একাধিক ধারায় টাকা দিয়ে নির্বাচন প্রভাবিত করার শাস্তির কথা সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে। তবুও এত দিন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি নির্বাচন কমিশন (ইসি)। উল্টো ভোট শেষ হওয়ার পরপরই নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে বলে দাবি করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রকাশ্যে ভোট বেচাকেনার ঘটনার পর ইসি কোনোভাবেই নির্বাচনকে সুষ্ঠু বলে দাবি করতে পারে না। কারণ টাকা দিয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করার নির্বাচনকে অন্তত সুষ্ঠু বলার সুযোগ নেই।

দলীয় প্রতীক না থাকলেও এ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সব জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী দিয়েছিল। এর মধ্যে ২৫ জেলায় বিনা ভোটে জয় পায় দলটি। ৩৪ জেলায় চেয়ারম্যান পদে ভোট হলেও তার মধ্যে ২৪ জেলায় আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন। বাকি ১০ জেলার মধ্যে একটিতে জাতীয় পার্টির প্রার্থী এবং ৯টি জেলায় জয়ী হন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহীরা। শুধু চেয়ারম্যান পদেই নয়; সদস্য প্রার্থীরাও ভোট বেচাকেনায় কোনো অংশেই পিছিয়ে ছিলেন না। ভোট শেষ হওয়ার পর জড়িত প্রার্থী ও ভোটাররা সাক্ষ্য-প্রমাণসহ প্রকাশ্য বক্তব্য দেওয়া শুরু করেছেন। তৃণমূল আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পদধারী একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং একাধিক গণমাধ্যমেও বিষয়টি প্রকাশিত হয়। এর মধ্যে ভোট বিক্রিতে জাল টাকা ব্যবহারের অভিযোগ নিয়ে হাস্যরসেরও সৃষ্টি হয়।
ইসির নির্বাচন পরিচালনার শাখা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইসির কাছে এ ধরনের কোনো অভিযোগ আসেনি। তবে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে তিনটি জেলার ঘটনা কমিশন সদস্যরা আমলে নিয়েছেন। এর মধ্যে টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ ও পটুয়াখালীর রিটার্নিং কর্মকর্তাকে তিন দিনের সময় দিয়ে ভোট বেচাকেনা এবং জাল টাকা ব্যবহারের অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাঁদের কাছ থেকে প্রতিবেদন পাওয়ার পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।