NEWSTV24
টাঙ্গাইলে বরইয়ের বাম্পার ফলন, কপাল খুলেছে কৃষকদের
মঙ্গলবার, ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ ০০:২৭ পূর্বাহ্ন
NEWSTV24

NEWSTV24

আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় টাঙ্গাইল জেলার সখীপুরে এবার বরইয়ের বাম্পার ফলন হয়েছে। সেই সাথে ভালো দাম পাওয়ায় লাভবান হচ্ছেন চাষীরা। বরই চাষে এবার কপাল খুলেছে কৃষকদের।  কৃষকেরা জানিয়েছেন, বরই সাধারণত উঁচু এবং উষ্ণতম অঞ্চলে ফলন ভালো হয়। যদিও উপজেলায় আগে আপেল কুল বরই ও বাউ কুলের চাষ হতো। তবে এখন নতুন জাত বল সুন্দরী বরইয়ের চাষ বেড়েছে। প্রচলিত আপেল কুল ও বাউ কুলের চেয়ে আকারে বেশ বড় এই বল সুন্দরী বরই।

জানা গেছে, নতুন এ জাতের বরই চাষ করে সফল হয়েছেন অনেকেই। সেজন্য আপেল কুল বা বাউ কুলের পরিবর্তে উপজেলায় বাড়ছে বল সুন্দরী বরই চাষ। বল সুন্দরী বরই আকারে বড়, অধিক মিষ্টি, রসালো, পুষ্টিগুণে ভরপুর এবং ফলনও হয় বেশ ভালো। তাই কৃষকরা এই বরই উৎপাদনের দিকে ঝুঁকছেন বেশি।

উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের বরই চাষি চাষি মাস্টার শহিদুল ইসলাম দৈনিক নয়া দিগন্তকে বলেন, তিন বন্ধু মিলে আট বিঘা জমিতে বরইয়ের চাষ করেছি। থোকায় থোকায় বল সুন্দরী বরই ধরেছে। প্রতি গাছে প্রায় ১৫ থেকে ১৮ কেজি করে কুল বরই পাওয়া যাবে। এতে খরচ হয়েছে প্রায় সাত থেকে আট লাখ টাকা। তবে বর্তমান বাজার দর হিসাবে ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে কুল বরই বিক্রি হচ্ছে। এতে প্রায় ১০-১১ লাখ টাকার করা বিক্রি করা সম্ভব বলে আশা করেন তিনি। অল্প খরচে অধিক লাভজনক হওয়াই কুল বরই চাষে ঝুঁকছেন তরুণ উদ্যোক্তারা বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নতুন জাতের এই বল সুন্দরী কুল গাছে থোকায় থোকায় বরইয়ে বাগান ভরে গেছে। ফলের ভারে গাছগুলো মাটিতে নুইয়ে পড়েছে। ইতোমধ্যে বাগানে কুল বরই তোলা ও বাজারজাতকরণে ব্যাস্ত সময় পার করছেন তিনি।

সখীপুর উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নসহ বেশ কয়েকটি স্থানে কুল বরই বাগান গড়ে উঠেছে। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন পাইকারি আড়তগুলোতে পৌঁছে যাচ্ছে সখীপুরের সুস্বাদু এই কুল ও টক বরই। বিভিন্ন জেলা থেকে আসা ব্যবসায়ীরা পাইকারি দরে কিনে ট্রাকে বোঝাই করে নিয়ে যান এই কুল ও টক বরই। সখীপুরের এই কুল ও টক বরই প্রতিদিন গড়ে প্রায় তিন থেকে চার লাখ টাকার কেনাবেচা হয়।