NEWSTV24
বাজেট যেন পিছিয়ে পড়া মানুষের পক্ষে যায়
মঙ্গলবার, ১৬ মে ২০২৩ ১৫:১৪ অপরাহ্ন
NEWSTV24

NEWSTV24

সমতাভিত্তিক ন্যায্য সমাজ প্রতিষ্ঠার জাতীয় আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে পদক্ষেপ থাকতে হবে আগামী বাজেটে। আর্থসামাজিক বিভিন্ন ক্ষেত্রে যে বৈষম্য চলছে, তা দূর করতে বাজেটকে পিছিয়ে পড়া মানুষের পক্ষে নিতে হবে। না হলে সমাজ থেকে বৈষম্য দূর করা সম্ভব হবে না।আগামী বাজেট সামনে রেখে এক নীতি সংলাপে এমন মতামত দিয়েছেন বক্তারা। আইএমএফের সময়কালে অসুবিধাগ্রস্ত মানুষের কথা জাতীয় বাজেটে কীভাবে প্রতিফলিত হতে পারে শিরোনামের এ সংলাপ গতকাল রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়। সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) এবং এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম যৌথভাবে এর আয়োজন করে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) সংলাপ আয়োজনে সহযোগিতা দেয়।সংলাপে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য রানা মোহাম্মদ সোহেল এবং সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বিশেষ অতিথি ছিলেন। নাগরিক প্ল্যাটফর্ম এবং সিপিডির বোর্ড অব ট্রাস্টির সদস্য অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল সংলাপে সভাপতিত্ব করেন। অসুবিধাগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিরা সংলাপে তাঁদের মতামত তুলে ধরেন।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আগামী বাজেটে প্রতিবন্ধী মানুষের ভাতা বাড়বে।এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুস্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন। অনেক বেশি হয়তো বাড়বে না। তবে এটি যাতে একটি অবলম্বন হিসেবে তাঁদের উপকারে আসে, সে চেষ্টা করছে সরকার। তিনি বলেন, ঐতিহাসিকভাবেই সমাজের দরিদ্ররা বঞ্চিত। আইনি অধিকার থেকে শুরু করে সব ক্ষেত্রেই যা সত্য। সরকারি অর্থ সব সময় ঠিকমতো তাঁদের হাতে পৌঁছায় না। সংলাপের শিরোনাম নিয়ে আপত্তি তুলে মন্ত্রী বলেন, বাজেট প্রণয়নে আইএমএফের হাত নেই। তারা কোনো ফ্যাক্টর নয়। সমস্যা সমাধানে তারা পরামর্শ দেয়। আমরা মরে যাইনি যে, তারা আমাদের বাঁচাতে এসেছে। তারা দাতাও নয়, ঋণদাতা। তিনি উল্লেখ করেন, আসলে আইএমএফ কোনো শর্ত দেয়নি। প্রয়োজনে কিছু পরামর্শ দিয়েছে। ভর্তুকি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মন্দ ভর্তুকি ভালো ভর্তুকিকে খেয়ে প্রণোদনার নামে উন্মাদনা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। ভর্তুকির বোতলে দুধ খেয়ে যারা অভ্যস্ত, তারা বোতল ছাড়তে চায় না । মা হিসেবে সরকার বোতল ছাড়ানোর চেষ্টা করছে।তিনি আরও বলেন, প্রবাসীদের পাঠানো অর্থের বিপরীতে সরকার আড়াই শতাংশ হারে প্রণোদনা দিচ্ছে। তার পরও সরকার হুন্ডির কাছে হেরে যাচ্ছে। ৩০ বিলিয়ন ডলার মন্দ নয়, যা চার থেকে পাঁচ মাসের খাদ্য আমদানি ব্যয়ের সমান। মন্ত্রী বলেন, ব্যয়ের ক্ষেত্রে সরকার এখন কৃচ্ছ্রতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। বড় কর্মকর্তার বড় গাড়ি, বড় বাড়ি এসব জায়গায় পরিবর্তন আনতে হবে। এগুলো ব্রিটিশ আমলে প্রয়োজন ছিল। কারণ এসব সুবিধা না পেলে কর্মকর্তারা এ দেশে আসতে চাইত না।