NEWSTV24
শেখ হাসিনার রায় কবে, জানা যাবে আজ
বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫ ১৪:১৭ অপরাহ্ন
NEWSTV24

NEWSTV24

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় হত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মামলার রায়ের তারিখ আজ বৃহস্পতিবার ঘোষণার জন্য দিন ধার্য রয়েছে। উভয় পক্ষের চূড়ান্ত যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ গত ২৩ অক্টোবর এই দিন ধার্য করে আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।রায়ের তারিখ ঘোষণা উপলক্ষে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এলাকায় নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়েছে। সকাল থেকে পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি, র;্যাব ও আনসার বাহিনী মোতায়েন থাকবে। একই সঙ্গে ট্রাইব্যুনাল এলাকায় কয়েক স্তরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। এ ছাড়া ট্রাইব্যুনাল এলাকায় সেনা মোতায়েন চেয়ে সেনা সদরদপ্তরে চিঠি পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট।রায়ের তারিখ ঘোষণাকে কেন্দ্র করে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা লকডাউন কর্মসূচি নিয়েছে। এ কর্মসূচির কারণে ব্যাপক নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। গত কয়েকদিনে ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় ককটেলের বিস্ফোরণ ও বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটছে। পুলিশ বলছে, এসব ঘটনার মাধ্যমে আতঙ্ক ছড়ানো হচ্ছে। এদিকে নগরবাসীকে আতঙ্কিত না হওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের প্রধান মো. শফিকুল ইসলাম। গতকাল সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, সব ধরনের অপতৎপরতা ঠেকাতে আইনে যে ক্ষমতা আছে তার সর্বোচ্চ প্রয়োগ করা হবে।

জুলাই গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে এ মামলায় শেখ হাসিনা ছাড়াও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন আসামি। ইতোমধ্যে মামুন অপরাধের দায় স্বীকার করে রাজসাক্ষী হয়েছেন। গত বছর ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর পুনর্গঠিত হয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এরপর আদালত অবমাননার দায়ে গত ২ জুলাই এই ট্রাইব্যুনাল শেখ হাসিনাকে ছয় মাসের সাজার আদেশ দেন। ;বিচার প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতে নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা রায়ের তারিখ ঘোষণা ঘিরে সহিংসতা নিয়ে প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম বলেছেন, সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের অংশ হিসেবে দেশজুড়ে নৈরাজ্যের লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে আওয়ামী লীগ। তবে এটিকে থ্রেট টু জাস্টিস মনে করি না। বিচার প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য তারা এমনটা করছে। গতকাল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি। বৃহস্পতিবার রায়ের তারিখ পাওয়া যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।ট্রাইব্যুনালের চলমান বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে মিজানুল ইসলাম বলেন, আইনানুগভাবে বিচার কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। তিনি মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খানের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড প্রত্যাশা করেন।ট্রাইব্যুনালের বিচার কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিচালনা হচ্ছে না বলে জাতিসংঘে দেওয়া আওয়ামী লীগের অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মিজানুল ইসলাম জানান, বিষয়টি তাঁর কাছে বোধগম্য নয়। প্রক্রিয়া অনুসরণ করে বিচার কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে অনিয়ম কী হচ্ছে, সেটা যদি ধরাতে হয় তাহলে আসামিকে উপস্থিত হতে হবে। উপস্থিত হয়ে আবেদন করে বলতে হবে, কোথায় অনিয়ম হচ্ছে।

তিনি বলেন, শুধু স্টেট ডিফেন্স আইনজীবী ছাড়া পলাতক আসামিদের পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তির কথা বলার সুযোগ নেই। আর শেখ হাসিনা ও কামালের পক্ষে স্টেট ডিফেন্স নিযুক্ত করা হয় আমির হোসেনকে। তিনি শেখ হাসিনার আমলে কোনো একটা কোর্টের স্পেশাল পিপির দায়িত্বে ছিলেন বলে জেনেছি। অর্থাৎ তিনি তাঁরই লোক। কাজেই এখানে ভিন্ন কোনো সমস্যা সৃষ্টি হওয়ার কারণ নেই। স্টেট ডিফেন্সের কোনো অযোগ্যতা নেই। এর পরও যদি আইনজীবীর ব্যাপারে কোনো প্রশ্ন উত্থাপিত হয়, তাহলে যিনি প্রশ্ন উত্থাপন করবেন, তাঁকে এ মামলায় কথা বলার অধিকার থাকতে হবে। পলাতক আসামিদের ট্রাইব্যুনালে আসতে হবে। আইনজীবী নিয়োগ করতে হবে। অথবা আইনজীবী নিয়োগ ছাড়া নিজেরাই বক্তব্য দেওয়ার অধিকার রাখেন তারা। হাজির হয়ে তারা কথা বলুন। বিদেশি গণমাধ্যমে প্রকাশিত শেখ হাসিনার সাক্ষাৎকার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিদেশি কোনো গণমাধ্যমের ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপের ক্ষমতা তাদের নেই।