NEWSTV24
সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা বন্ধ ঘোষণা
সোমবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৫ ১৬:৫০ অপরাহ্ন
NEWSTV24

NEWSTV24

শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের পর রাজধানীর বকশীবাজার এলাকার সরকারি মাদ্রাসা-ই-আলিয়া মাদ্রাসা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। একই সঙ্গে আবাসিক শিক্ষার্থীদের হলত্যাগের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সাম্প্রতিক ভূমিকম্প এবং ছাত্র সংঘর্ষের পরিস্থিতি বিবেচনা করে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গতকাল রবিবার বিকালে প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ ওবায়দুল হকের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়। এদিকে রাজধানীর সরকারি তিতুমীর কলেজে ব্যানার টাঙানো কেন্দ্র করে ছাত্রদল ও শিবিরের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত তিন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।আলিয়া মাদ্রাসার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি ভূমিকম্পজনিত কারণে হলের কিছু পিলার ও কক্ষে ফাটল দেখা দেওয়ার পাশাপাশি ২২ নভেম্বর রাতে সংঘটিত ছাত্র সংঘর্ষের পরিস্থিতি বিবেচনা করে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।নির্দেশনা অনুযায়ী, আল্লামা কাশগরী (রহ.) হল ও মুফতি আমিমুল ইহসান হলে অবস্থানরত সব আবাসিক শিক্ষার্থীকে রবিবার বিকাল ৪টার মধ্যে হল ছাড়তে হবে। তবে চলমান ফাজিল স্নাতক (পাস) ১ম, ২য় ও ৩য় বর্ষের পরীক্ষা-২০২৪ এর কার্ডধারী আবাসিক পরীক্ষার্থীদের হল সুপার বরাবর আবেদন করার জন্যও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

গত শনিবার রাতে মাদ্রাসায় শিক্ষার্থীদের দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এতে অন্তত চারজন আহত হন। তারা হলেন- ইলিয়াস , মহিউদ্দিন, মো. ওমর ও মাবিক।শনিবার রাতে মাদ্রাসার ভেতরে মিলাদ মাহফিলের অনুষ্ঠান ছিল। সেখানে শিক্ষার্থীদের দুই পক্ষের মধ্যে প্রথমে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পরে সেনাবাহিনীর সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।এদিকে রাজধানীর সরকারি তিতুমীর কলেজে ব্যানার টাঙানো কেন্দ্র করে ছাত্রদল ও শিবিরের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত তিন শিক্ষার্থী আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আহতদের একজন কলেজের গণমাধ্যমকর্মী। শনিবার রাত ১২টার দিকে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতদের শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।পুলিশ জানিয়েছে, তিতুমীর কলেজ শাখা ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে নবীন শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানিয়ে ব্যানার টাঙাচ্ছিলেন। কলেজের প্রধান ফটকে ব্যানার টাঙানোর সময় ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা তাদের বাধা দেন। এতে করে বাগ্বিতণ্ডার একপর্যায়ে তা সংঘর্ষে গড়ায়। সংঘর্ষের ভিডিও ধারণ করতে থাকা কলেজের গণমাধ্যমকর্মীরাও হামলার শিকার হন।