ব্যাংক আলফালাহর ব্যবসা অধিগ্রহণ করবে ব্যাংক এশিয়াআজ এক ঘণ্টা বন্ধ থাকবে ইন্টারনেট সেবাথাইল্যান্ড সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রীআনাড়ি হাতে ২০ টন ট্রাক, ফের সড়কে ঝরল ১৪ প্রাণইরানের বিরুদ্ধে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে যুক্তরাষ্ট্র
No icon

কঠিন বাস্তবতার মুখে বিদেশ ফেরতরা

করোনা মহামারীর কারণে কাজ হারিয়ে দেশে ফিরে আসছেন প্রবাসী কর্মীরা। কিন্তু দেশে এসেও নিরুপায় তারা। কারণ উপার্জন নেই। করোনার প্রথম ঢেউ শুরুর সময় যারা এসেছেন তাদের গচ্ছিত অর্থও শেষ।অনেকে আবার কোনো অর্থকড়ি নিয়ে আসতে পারেননি। তাই বাধ্য হয়ে তারা আবার ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। কিন্তু বাধা সেই করোনা। কেউ কেউ ফিরে গেলও অনেকের যাওয়া অনিশ্চিত।ইতোমধ্যে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়েছে। অর্থাৎ কঠিন এক বাস্তবতার মুখোমুখি তারা। কী করে বাঁচবেন সে পথও খুঁজে পাচ্ছেন না। বিষয়টি শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিকেও ভাবিয়ে তুলেছে।তারা ফেরত আসা প্রবাসী শ্রমিকদের আপাতত যোগ্যতা ও দক্ষতা অনুযায়ী দেশেই কর্মসংস্থানসহ পুনর্বাসনের সুপারিশ করেছে। বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ ভবনে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক হয়।

কমিটির সভাপতি মুজিবুল হকের সভাপতিত্বে বৈঠকে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান, শাজাহান খান, শামসুন নাহার এবং মো. আনোয়ার হোসেন (হেলাল) উপস্থিত ছিলেন।বৈঠকে দেশে ফেরা প্রবাসী শ্রমিকদের মানবেতর জীবনযাপনের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। কমিটির একাধিক সদস্য তাদেরকে আর্থিক প্রণোদনা দেয়াসহ বিকল্প উপায়ে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার জন্য তাগিদ দেন।তারা বলেন, বিশ্বজুড়ে করোনার মহামারীর দ্বিতীয় ঢেউ চলছে। নতুন করে বিমান যোগাযোগ বন্ধ করে দিচ্ছে বহু দেশ। অবস্থা উত্তরণ কবে ঘটবে কেউ বলতে পারছেন না।এ অবস্থায় চাইলেও অনেক শ্রমিকের পক্ষে কর্মস্থলে ফিরে যাওয়া সম্ভব না। ফলে তাদের জীবনকে অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে না দিয়ে একই কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ প্রয়োজন।এ জন্য মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্যও বলেছে সংসদীয় কমিটি। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে বৈঠকে জানানো হয়, করোনার কারণে বিভিন্ন দেশ থেকে কাজ হারিয়ে প্রবাসী শ্রমিকদের দেশে ফেরত আসা এখনও অব্যাহত রয়েছে।চলতি বছর ১ এপ্রিল থেকে ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত ২ লাখ ৯৭ হাজার ৯৮৪ পুরুষ এবং নারী ৪৩ হাজার ৭৭৪ জন নারী শ্রমিক দেশে ফিরতে বাধ্য হয়েছেন। এ ছাড়া আউটপাস নিয়ে দেশে এসেছেন ৪১ হাজার ৫৮৯ জন।