ফরিদপুরে বাস-পিকআপভ্যান সংঘর্ষে নিহত ১১গরমে বাড়ছে ডায়রিয়া, জ্বরবিভিন্ন স্থানে শিলাবৃষ্টির পূর্বাভাসআজ থেকে স্বাভাবিক নিয়মে চলবে ব্যাংকের লেনদেনইরানে পাল্টা হামলার সিদ্ধান্ত ইসরায়েলের
No icon

দালালের মাধ্যমে নয়, বৈধ পথে বিদেশে যাওয়ার পরামর্শ প্রধানমন্ত্রীর

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নাগরিক সংবর্ধনা দিয়েছে মালদ্বীপে বাংলাদেশ দূতাবাস, প্রবাসী বাংলাদেশি ও মালদ্বীপ আওয়ামী লীগ। এসময় দালালের মাধ্যমে না গিয়ে বৈধ পথে প্রবাসীদের বিদেশে যাওয়ার পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী।শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় বিকেলে দেশটির রাজধানী মালেতে ইস্কান্দার স্কুলের হল রুমে মালদ্বীপের বাংলাদেশ দূতাবাস ও প্রবাসী বাংলাদেশিদের উদ্যোগে প্রধানমন্ত্রীকে ওই নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়া হয়।ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধান অতিথি হিসেবে নাগরিক সংবর্ধনায় অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।মহান মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ার পথচলায় প্রবাসীদের বিভিন্ন অবদানের কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা চাই দেশটা এগিয়ে যাক। দেশকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য ইতোমধ্যেই যথেষ্ট উদ্যোগ নিয়েছি। অর্থনৈতিকভাবে আমাদের দেশ শক্তিশালী হোক। আমরা আত্মমর্যাদাশীল ও আত্মনির্ভরশীল হই। সে লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ করছি। কারণ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর যারা ক্ষমতায় এসেছিল তারা বাংলাদেশকে আত্মনির্ভরশীল বা আত্মমর্যাদাশীল হিসেবে গড়ে তোলার পরিবর্তে পরনির্ভরশীল করেছিল। সেটা আমাদের জন্য অত্যন্ত অসম্মানজনক।তিনি বলেন, আমরা যখন সরকারে এসেছি তখন থেকে প্রচেষ্টা চালিয়েছি আমাদের দেশ অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে আত্মমর্যাদাশীল ও আত্মনির্ভরশীল হবে।মালদ্বীপে নাগরিক সংবর্ধনায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, প্রবাসীদের রেমিট্যান্স পাঠানো সহজতর করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী প্রবাসী শ্রমিকদের রেমিট্যান্স পাঠানোর অবদানের কথা স্মরণ করে বলেন, আমাদের রেমিট্যান্স প্রবাসীরা পাঠাচ্ছে। আমরাও করোনাকালে তাদের প্রণোদনা দিয়েছি। ফলে আজ রেমিট্যান্স বেড়েছে।বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, আমাদের প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে যারা কর্মরত বা বিদেশে যারা কর্মী পাঠায় তাদের কাছে অনুরোধ, আপনারা দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবেন। কারণ দায়িত্বটা আপনাদের ওপর বর্তায়। আসলে মানুষ অনেক সময় নানাধরনের কথা চিন্তা করে। ভাবে যে, বিদেশে গেলে বোধহয় অনেক অর্থ উপার্জন করবো। অনেকে আবার দালালের খপ্পরে পড়ে অন্ধকার পথে পা বাড়ায়। প্রধানমন্ত্রী তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা এধরনের পরিস্থিতির শিকার হবেন না। দালালদের খপ্পরে পড়বেন না। দালালদের মাধ্যমে নয় বৈধ পথে বিদেশে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশে যে ডিজিটাল সেন্টার করে দিয়েছি তার মাধ্যমে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধন করার সুযোগ আছে। আর এই নিবন্ধনকৃতদের যেখানে কাজের সুযোগ হবে, সেখানে তাদের পাঠানো হবে। সেজন্য আমাদের ধৈর্য ধরতে হবে। কিন্তু আপনারা যদি কারও প্ররোচনায় বিদেশে গিয়ে বিপদে পড়েন, সেটা নিজের জন্য, পরিবারের জন্য খুবই কষ্টকর।শেখ হাসিনা বলেন, এখন আমাদের দেশের যেমন কাজের অভাব নেই, খাবারেরও অভাব নেই আল্লাহর রহমতে। কাজেই এখন আর সোনার হরিণ ধরার পেছনে দয়া করে অন্ধের মতো ছুটবেন না। আপনারা নিবন্ধন করে তার মাধ্যমে যান, সেটাই আমরা চাই। প্রবাসী শ্রমিকদের সার্বিক কল্যাণ নিশ্চিত করার জন্য সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে বলেও অবহিত করেন তিনি।প্রবাসীদের সবরকম সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের অর্থনীতিকে সচল রাখা, ফরেন রিজার্ভ বাড়ানো ক্ষেত্রে প্রবাসীদের যথেষ্ট অবদান রয়েছে।তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশকে আমরা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে। তার জন্য আমরা দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনাও নিয়েছি। আমরা মুজিববর্ষ উদযাপন করছি। হয়তো যেভাবে চেয়েছিলাম সেভাবে আমরা পারিনি। কিন্তু আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, বাংলাদেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেবো। ইতোমধ্যে ৯৯ ভাগ মানুষ বিদ্যুৎ পেয়েছে। সেইসঙ্গে বাংলাদেশে একটি মানুষও গৃহহীন থাকবে না। যাদের ভূমি নেই, গৃহ নেই, তাদের আমরা ঘর করে দেবো- মুজিববর্ষে এটাই আমাদের অঙ্গীকার ছিল, আমরা সেইটা করে যাচ্ছি।