ব্যাংক আলফালাহর ব্যবসা অধিগ্রহণ করবে ব্যাংক এশিয়াআজ এক ঘণ্টা বন্ধ থাকবে ইন্টারনেট সেবাথাইল্যান্ড সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রীআনাড়ি হাতে ২০ টন ট্রাক, ফের সড়কে ঝরল ১৪ প্রাণইরানের বিরুদ্ধে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে যুক্তরাষ্ট্র
No icon

বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেবে সিঙ্গাপুর

করোনা ভাইরাস মহামারীতে বিপর্যস্ত অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের পথ তৈরিতে অতিপ্রয়োজনীয় খাতগুলোয় অভিবাসী শ্রমিক নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে সিঙ্গাপুর। গত শনিবার দেশটির প্রধানমন্ত্রী লি সিয়েন লুং নতুন বছরের শুভেচ্ছাবার্তায় অভিবাসী শ্রমিক নেওয়ার এ ঘোষণা দেন।প্রধানমন্ত্রী লি সিয়েন লুং বলেন, সিঙ্গাপুর অতিপ্রয়োজনীয় অভিবাসী কর্মীদের নিয়ে আসবে এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ের মেধাবী কর্মীরা যেন সিঙ্গাপুরে সমাদৃত বোধ করেন, তা নিশ্চিত করা হবে। একই সঙ্গে তারা সিঙ্গাপুরবাসীর পরিপূরক হয়ে উঠবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।সিঙ্গাপুর সাধারণত বাংলাদেশ, ভারত, চীন ও ফিলিপাইন থেকে শ্রমিক, দক্ষ জনশক্তি ও পেশাজীবীদের নিয়ে থাকে। তবে কোনো দেশ থেকে কতসংখ্যক কর্মী নেওয়া হতে পারে সে বিষয়ে পরিষ্কার কিছু জানা যায়নি।লি সিয়েন বলেন, ২০২২ সাল হবে রূপান্তরের সময়। দেশের অর্থনীতি দৃঢ়ভাবে পুনরুদ্ধার হচ্ছে এবং এ নগর রাষ্ট্র বাকি বিশ্বের সঙ্গে পুনরায় যোগাযোগ স্থাপন করছে।

আগামী বছর সিঙ্গাপুরের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) ৩-৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে বলে আশা করে লি বলেন, নতুন কোনো বাধা ছাড়াই সিঙ্গাপুরের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ঘটবে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের সঙ্গে ধাপে ধাপে। দেশটির সরকার দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য অর্জনের জন্য আগাম পরিকল্পনা নিয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।সিঙ্গাপুরের এ প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ওমিক্রনের প্রভাব মোকাবিলার জন্য নিজেদের প্রস্তুত করছি। সে কারণে আমরা কিছুটা আত্মবিশ্বাসী হতে পারি যে, সামনে যে ধরনের বাধাই আসুক না কেন আমরা তা মোকাবিলা করব।মহামারীপরবর্তী অর্থনীতিতে অবশ্যই নতুন প্রবৃদ্ধি, নতুন কর্মসংস্থান তৈরি এবং সমৃদ্ধি আনতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। তবে স্থিতিশীল বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক পরিবেশের ওপর অনেক কিছু নির্ভর করবে এবং এর কেন্দ্রে থাকবে মার্কিন-চীন সম্পর্ক। লি সিয়েন বলেন, বৈশ্বিক এ দুই শক্তির বিভাজন অনেক বেশি ও গভীর। তবে জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে এ দুই দেশের সাম্প্রতিক উচ্চপর্যায়ের তৎপরতা এবং বাস্তবিক সহযোগিতা বেশ উৎসাহব্যঞ্জক। তিনি বলেন, আমাদের জনগণের কল্যাণের জন্য আমরা ২০২২ সালের প্রথম দিনে কার্যকর হওয়া আঞ্চলিক ব্যাপক অর্থনৈতিক অংশীদারত্বসহ বাণিজ্য উদারীকরণ এবং আঞ্চলিক একীভূতকরণের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাব।চীনের নেতৃত্বে বিশ্বের বৃহত্তম বাণিজ্যিক এই ব্লকে ১০ সদস্য দেশ রয়েছে। ব্যাপক অর্থনৈতিক অংশীদারত্বমূলক এই ব্লকে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া, ব্রুনাই, কম্বোডিয়া, জাপান, লাওস, নিউজিল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনাম।