ফরিদপুরের মধুখালীতে শ্যালকদের কোপে দুলাভাই খুন : গ্রেফতার ৩তাপপ্রবাহের কারণে স্কুল-কলেজ বন্ধ ঘোষণাতীব্র তাপপ্রবাহ: ৭ দিন স্কুল বন্ধের দাবি ভেজাল নকল পণ্যে সর্বনাশতাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে
No icon

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে 'ব্লক রেইড'

জনপ্রিয় রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহকে হত্যার পর কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নিরাপত্তা নিয়ে নতুন উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। সাধারণ অনেক রোহিঙ্গার মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ক্যাম্প ঘিরে একগুচ্ছ নতুন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নীতিনির্ধারকরা। লম্বাশিয়ায় যে ক্যাম্পে মুহিবুল্লাহকে খুন করা হয়, সেখানে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সদস্য চার গুণ বাড়ানো হয়েছে। টানা ব্লক রেইড ও চিরুনি অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন।এ ছাড়া রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তার জন্য এপিবিএনের আরও দুটি নতুন ব্যাটালিয়নের প্রস্তাব করা হয়েছে। এর একটি দায়িত্ব পালন করবে ভাসানচরে, অন্যটি কক্সবাজারে। বর্তমানে কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তায় এপিবিএনের তিনটি ব্যাটালিয়ন রয়েছে। সংশ্নিষ্ট একাধিক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক পুলিশ সুপার নাইমুল হক বলেন, এখন তারা জোর দিচ্ছেন মুহিবুল্লাহর হত্যাকারীদের চিহ্নিত করে তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার ওপর। ক্যাম্পে ব্লক রেইডসহ দিনে-রাতে ধারাবাহিক অভিযানও চলছে। ক্যাম্প ঘিরে নিরাপত্তা বেষ্টনী থাকায় ধারণা করছি, মুহিবুল্লাহর খুনিরা বাইরে পালিয়ে যেতে পারেনি।

নাইমুল হক আরও বলেন, লম্বাশিয়া ক্যাম্পে আগে ৭০-৭৫ জন পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করতেন। এখন তা বাড়িয়ে তিনশ করা হয়েছে। পাশাপাশি গোয়েন্দা নেটওয়ার্ক আরও জোরদার করা হয়েছে।অভিযোগ আছে, দিনে ক্যাম্প ঘিরে পুলিশি নিরাপত্তা থাকলেও রাতে সেখানে সন্ত্রাসীরা তৎপর হয়। এ ব্যাপারে নাইমুল হকের ভাষ্য- এই অভিযোগ সঠিক নয়। সন্ধ্যা ৭টার পর ক্যাম্পের বাইরে কোনো রোহিঙ্গার যাতায়াতে বিধিনিষেধ রয়েছে। করোনা পরিস্থিতি ভালো হওয়ার পরপরই ক্যাম্প ঘিরে আরও সক্রিয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। আরও অনেক সংস্থা এখানে কাজ করছে।সংশ্নিষ্ট একাধিক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ক্যাম্পে গোয়েন্দা নেটওয়ার্ক জোরদার করে সশস্ত্র দল ও উপদলগুলোর কার্যক্রমের ওপর নজরদারি বাড়ানোর তাগিদ দেওয়া হয়েছে। ক্যাম্পের নিরাপত্তায় নিয়োজিত পুলিশের বিদ্যমান তিন ব্যাটালিয়নের মধ্যে সমন্বিত গোয়েন্দা নেটওয়ার্ক তৈরি করার পরামর্শ দেওয়া হয়। আগাম গোয়েন্দা তথ্য ছাড়া এত বিপুল রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর কার্যকর মনিটরিং অসম্ভব।