প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেনগরমের তীব্রতা কমাতে কী কাজ করেছেন, জানালেন হিট অফিসারবিনা ভোটে নির্বাচিত ৩৩ প্রার্থীসব ধরনের যাত্রীবাহী ট্রেনে ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়েতাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রির বেশি যেসব অঞ্চলে
No icon

রোহিঙ্গা ফেরাতে মিয়ানমারকে কড়া বার্তা দেবে ইন্দোনেশিয়া

মিয়ানমারের নাগরিক রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে দেশটির কাছে কড়া বার্তা পাঠানোর প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে ইন্দোনেশিয়া। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎকালে সফররত ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেতনো মারসুদি বলেন,আমরা রোহিঙ্গা সংকটের সমাধানের জন্য মিয়ানমারকে কড়া বার্তা দিতে যাচ্ছি।রোহিঙ্গারা জোরপূর্বক বিতাড়িত হওয়ার পর তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশ তাদের দেখভাল করছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এটি বাংলাদেশের একটি বড় বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে।প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এ ব্যাপারে ব্রিফিং করেন। ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীকে ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্টের শুভেচ্ছা জানান।কোভিড-১৯ মহামারির উল্লেখ করে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এই মহামারি মোকাবিলায় বাংলাদেশের সাফল্যের প্রশংসা করেন।ইন্ডিয়ান ওশান রিম অ্যাসোসিয়েশনের (আইওআরএ) ২১তম মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে যোগ দিতে ঢাকায় আগত ইন্দোনেশিয়ার মন্ত্রী বলেন, তারাও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রেখেছেন এবং কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছেন।

পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন দক্ষিণ আফ্রিকার আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও সহযোগিতা বিষয়ক মন্ত্রী ড. প্যান্ডোর।বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নেলসন ম্যান্ডেলা ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সংগ্রাম একই ছিল। উভয় নেতাই অসামান্য ত্যাগস্বীকার করেছেন এবং দীর্ঘদিন জেল খেটেছেন।প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে বলেন, আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত নীল অর্থনীতির বিকাশের জন্য ভারত মহাসাগরকে শান্তিপূর্ণ রাখা।দক্ষিণ আফ্রিকার আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও সহযোগিতা মন্ত্রী বলেন, দক্ষিণ আফ্রিকা ফাইজার ও জনসন অ্যান্ড জনসনের কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন তৈরি করছে।শ্রীলঙ্কার পররাষ্ট্রমন্ত্রী জিএল পেইরিস প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে অপর এক বৈঠকে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি, বিশেষ করে অনলাইন সংযুক্ততা, ব্যবসা ও ব্যাংক কার্যক্রম এবং সামাজিক নিরাপত্তা নেটওয়ার্কের ভূয়সী প্রশংসা করেন।শেখ হাসিনা সরকারের ক্ষুদ্রসঞ্চয় কর্মসূচির কথা উল্লেখ করেন। প্রধানমন্ত্রী মহামারি পরবর্তী পরিস্থিতিতে দেশে যে কোনো ধরনের খাদ্য ঘাটতি এড়াতে সরকারের পদক্ষেপের কথাও উল্লেখ করেন।তিনি বলেন, আমরা খাদ্য নিরাপত্তার ওপর বিশেষ জোর দিয়েছি।এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস উপস্থিত ছিলেন।