প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেনগরমের তীব্রতা কমাতে কী কাজ করেছেন, জানালেন হিট অফিসারবিনা ভোটে নির্বাচিত ৩৩ প্রার্থীসব ধরনের যাত্রীবাহী ট্রেনে ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়েতাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রির বেশি যেসব অঞ্চলে
No icon

শততম টি-টোয়েন্টিতে বড় জয় পেল বাংলাদেশ

টি-টোয়েন্টিতে শততম ম্যাচে বড় জয় পেল বাংলাদেশ। হারারে ক্রিকেট গ্রাউন্ডে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে স্বাগতিক জিম্বাবুয়েকে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে সফরকারীরা। আর এই জয়ের মধ্যদিয়ে ওয়ানডে ও টেস্টের পর ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণ টি-টোয়েন্টির শততম ম্যাচেও জয় তুলে নিল টাইগাররা।বৃহস্পতিবার হারারেতে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করতে নামে জিম্বাবুয়ে। সব উইকেট হারিয়ে তারা সংগ্রহ করে ১৫২ রান। জবাবে ২ উইকেট হারিয়ে ৭ বল বাকি থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌছে যায় বাংলাদেশ।১৫৩ রানের লক্ষ্যে নেমে ম্যাচের চতুর্থ ওভারে এসে প্রথম চারের দেখা পায় বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ের বোলার এনগারাভার বলে চার মারেন মোহাম্মদ নাঈম। শুরুতে সাবধানী খেললেও দ্রুত খোলস; ছেড়ে বেরিয়ে আসেন ওপেনার সৌম্য-নাঈম। এরপর তারা ভেঙেছেন টি-টোয়েন্টিতে ওপেনিংয়ে বাংলাদেশের সর্বাধিক রানের রেকর্ড। আগের রেকর্ডটি ছিল এই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই। সেবার ওপেনিংয়ে নেমে ৯২ রানের জুটি গড়েছিলেন তামিম ইকবাল ও লিটন দাস। আজ ম্যাচের ১২তম ওভারে সেই রেকর্ড ভাঙেন সৌম্য-নাঈম।ম্যাচের ১৩তম ওভারে একশ রান পেরিয়ে যায় এই জুটি। তবে ১৪তম ওভারের প্রথম বলে ২ রান নিয়ে ফিফটির দেখা পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আউট হন সৌম্য। ৪৫ বলে ৫০ রান করেন তিনি। তার এই ইনিংসে ছিল চারটি চার ও দুটি ছয়ের মার।

১৬তম ওভারের প্রথম বলে ১ রান নিয়ে টি-টোয়েন্টিতে নিজের দ্বিতীয় ফিফটি তুলে নেন নাঈম। উদ্বোধনী জুটি ভাঙার পর মাহমুদউল্লাহ নিজেকে তিনে উঠিয়ে আনেন। কিন্তু নিজের ইনিংস বড় করতে পারেননি। রায়ান বার্লের সরাসরি থ্রোতে রান আউট হন মাহমুদউল্লাহ। ১২ বলে ১৫ রান করেন তিনি।তৃতীয় উইকেট জুটিতে নাঈম ও সোহান জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন। ৬৩ রানে অপরাজিত থাকেন নাঈম শেখ। আর নুরুল হাসান সোহান করেন ১৬ রান।এর আগে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি জিম্বাবুয়ের। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে মোস্তাফিজুর রহমানের বলে সৌম্য সরকারের হাতে ক্যাচ তুলে সাজঘরে ফেরেন তাদিওয়ানাসে মারুমানি। ব্যক্তিগত ৭ রানে ফেরেন মারুমানি।১০ রানে জিম্বাবুয়ে প্রথম উইকেট হারানোর পর ক্রমেই বিপজ্জনক হয়ে ওঠে চাকাভা;মাধেভেরে জুটি। এই জুটি ভেঙে বাংলাদেশকে স্বস্তি দেন সাকিব আল হাসান। তাকে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে ২৩ বলে ২৩ রান করেন মাধেভেরে। এতে ভাঙে চাকাভা;মাধেভেরের ৩৮ বলে ৬৪ রানের জুটি।দলীয় স্কোরকার্ডে ১৭ রান যোগ হতেই রান আউট হয়ে ফেরেন খুনে মেজাজে থাকা চাকাভা। শরিফুল ইসলামের প্রথম বলে নুরুল হাসান সোহান তাকে রান আউট করেন। ২২ বলে ৫ চার ও ২ ছয়ে ৪৩ রান করেন জিম্বাবুয়ের ওপেনার। শরিফুলের ওভারে চার বলের ব্যবধানে সিকান্দার রাজাও আউট হন। তিন বল খেলে রানের খাতা না খুলেই সোহানকে পেছনে ক্যাচ দেন স্বাগতিক অধিনায়ক।

নিজের দ্বিতীয় ওভার করতে আসা সৌম্য সরকারও পান উইকেটের দেখা। ইনিংসের ১৪তম ওভারে মুসাকান্দাকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন তিনি।দলীয় ১১৯ রানে নিজের দ্বিতীয় উইকেট নেন শরীফুল ইসলাম। স্ট্যাম্প উপড়িয়ে ভয়ংকর হয়ে উঠা মায়ার্সকে থামান তরুণ এই পেসার। সাজঘরে ফেরার আগে ২২ বল খেলে ৩৫ রান করেন মায়ার্স।শেষদিকে লুক জংউইর সুবাদে ইনিংসে জিম্বাবুয়ের দলীয় স্কোর দেড়শ ছাড়িয়ে যায়। জংউই করেন ১৮ রান। এছাড়া ৮ রানে মুজারাবানি এবং ৪ রানে রায়ান বার্ল আউট হন।বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন মোস্তাফিজুর রহমান। এছাড়া দুটি করে উইকেট পেয়েছেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও শরিফুল ইসলাম।জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়েই টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বাংলাদেশের যাত্রা হয় ২০০৬ সালে। সেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শততম টি-টোয়েন্টিতে জয় পেল বাংলাদেশ। দুই দলের ১৪ বারের মুখোমুখি লড়াইয়ে এগিয়ে টাইগাররাই। ৪ হারের বিপরীতে ১০ জয় পেয়েছে বাংলাদেশ।