ইয়াস-এর রেশ কাটতে না কাটতেই বঙ্গোপসাগরে ফের সৃষ্টি হচ্ছে নিম্নচাপ। আজ শুক্রবার উত্তর বঙ্গোপসাগরের ওপর তৈরি হবে এই নিম্নচাপ। নিম্নচাপের হাত ধরেই দেশে প্রবেশ করতে চলেছে বর্ষা।পশ্চিমবঙ্গের আলিপুর আবহাওয়া দফতর বলছে, ১১ জুন নিম্নচাপ তৈরি হচ্ছে। ফলে দুএকদিনের মধ্যেই চলে আসবে বর্ষা;। এ বছর এই অঞ্চলে বর্ষা আসার স্বাভাবিক সময় ১০ জুন। ঢাকার আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, আগামী তিন দিনের মধ্যে লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। আগামী দিনগুলোতে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা আরও বাড়তে পারে।উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ইয়াস গত ২৬ মে দুপুর ১২টা থেকে তিনটার মধ্যে ভারতের ডামরার উত্তর এবং বালাশোরের দক্ষিণ দিক দিয়ে ভারতের উত্তর ওড়িশা-পশ্চিমবঙ্গ উপক;ল অতিক্রম করে। এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ঝড়ো হওয়া বয়ে যায় বাংলাদেশের উপক;লীয় এলাকায়ও, দেখা দেয় জলোচ্ছস।মূলত লঘুচাপ ক্রমে শক্তি সঞ্চয় করে করে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, নিম্নচাপ, গভীর নিম্নচাপ ও শেষে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেয়।
আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান খান বৃহস্পতিবার জানান, পরবর্তী ৭২ ঘণ্টায় উত্তর বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এতে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে পারে।সামনের দিনগুলোতে বৃষ্টির পরিমাণ কেবল বাড়ার পালা বলে জানালেন আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক। তিনি বলেন, এবার আমরা স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের আশা করছি। সেটি গড়ে ৪৩৫ মিলিমিটার পর্যন্ত হতে পারে। এখন থেকে প্রতিদিন বৃষ্টির পরিমাণ বাড়তে পারে। সেই সঙ্গে থাকবে দমকা হাওয়া ও বজ্রপাত। এটি বর্ষাকালের স্বাভাবিক বিষয়।ইন্ডিয়া মেটেরোলজিক্যাল ডিপার্টমেন্টের তরফেও জানানো হয়েছে, এ বছর স্বাভাবিক বর্ষাই হবে। জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্থায়ী হয় বর্ষা। এই সময়কালে স্বাভাবিক হবে বর্ষা। জানা যাচ্ছে, এই নিয়ে টানা তিন বছর স্বাভাবিক হতে চলেছে বর্ষা। এটা সকলের জন্য ভাল খবর। চলতি বছরে জুন থেকে সেপ্টেম্বরে ৯৮ শতাংশ বৃষ্টি হতে পারে।কাগজে-কলমে বর্ষাকাল আসার আগেই দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু দেশে প্রবেশ করে। ফলে শুরু হয়ে যায় প্রাক-বর্ষা। এ বছরও তাই ঘটেছে। গত ৭ জুন দেশে মৌসুমি বায়ু প্রবেশ করেছে। ফলে গত কয়েক দিন ধরেই প্রকৃতিতে বর্ষার আমেজ বিরাজ করছে। প্রাক-বার্ষার আমেজে বৃষ্টিপাত হচ্ছে দেশে।