নিউমোনিয়ায় মৃত্যুর ৫২% নবজাতকগাজীপুরে ভোরে আরও দুই বাসে আগুন শিক্ষা ক্যাডারে নিয়োগ পাচ্ছেন ৬৬৮ জনঢাকায় বিজিবি মোতায়েননির্বাচনী আচরণবিধি ভাঙলে প্রার্থিতা বাতিল, গেজেট প্রকাশ
No icon

নিউমোনিয়ায় মৃত্যুর ৫২% নবজাতক

দেশে শিশুমৃত্যুর অন্যতম কারণ নিউমোনিয়া। প্রতিবছর প্রায় ১৪ লাখ শিশু এতে আক্রান্ত হয়। এর মধ্যে প্রায় ২৪ হাজার শিশু প্রাণ হারায়, অর্থাৎ প্রতিদিন গড়ে ৬৬ জন পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু নিউমোনিয়ায় মারা যায়। আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্রের (আইসিডিডিআর,বি) এক গবেষণা বলছে, নবজাতক পর্যায়ে নিউমোনিয়ায় শিশুমৃত্যুর হার ৫২ শতাংশ, এক মাস থেকে এক বছরের মধ্যে ৩২ শতাংশ এবং এক থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে ১৬ শতাংশ।শিশু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ২০১৭ সালে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের মধ্যে নিউমোনিয়ায় মৃত্যুহার ছিল ৮ শতাংশ, যা ২০২২ সালের জরিপেও ৭.৪ শতাংশের আশপাশে।এমন বাস্তবতায় আজ বুধবার পালিত হচ্ছে বিশ্ব নিউমোনিয়া দিবস। এ বছরের প্রতিপাদ্য সুস্থ সূচনা, আশার ভবিষ্যৎ । দিবসটি উপলক্ষে সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান শিশুদের নিউমোনিয়া প্রতিরোধ ও চিকিৎসা-সংক্রান্ত সচেতনতা বাড়ানোর নানা কর্মসূচি নিয়েছে।বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী, শিশু চিকিৎসায় হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ১০টি মৌলিক সুবিধা থাকা উচিত। তবে বাংলাদেশ স্বাস্থ্য সুবিধা জরিপ ২০১৭ অনুযায়ী, দেশে মাত্র ৫ শতাংশ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এই সুবিধাগুলো রয়েছে। বাকি ৯৫ শতাংশ কেন্দ্রেই নেই প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম, ওষুধ বা প্রশিক্ষিত কর্মী।

আইসিডিডিআর,বি আরও জানিয়েছে, নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশুর ৫২ শতাংশ মারা যাচ্ছে বাড়িতে, কোনো চিকিৎসা না পেয়ে। বাড়িতে চিকিৎসা নিয়েও মারা যাচ্ছে ৩ শতাংশ, আর হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা নিয়েও মারা যাচ্ছে ৪৫ শতাংশ শিশু। দেশে নিউমোনিয়ার সংক্রমণ কোন জীবাণুর মাধ্যমে হচ্ছে, তার ৫০ শতাংশ কারণ এখনও অজানা।চাইল্ড হেলথ রিসার্চ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সমীর কুমার সাহা বলেন, সংক্রমণ ভাইরাসের মাধ্যমে, না ব্যাকটেরিয়ার মাধ্যমে তা জানার উদ্যোগ নেই। নিউমোনিয়া প্রতিরোধে সংক্রমণের কারণ জানা জরুরি।
আইসিডিডিআর,বির জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞানী মোহাম্মদ জোবায়ের চিশতি বলেন, অপুষ্টিতে থাকা শিশুদের নিউমোনিয়ায় মৃত্যুর ঝুঁকি ১৫ গুণ। তিনি আরও বলেন, প্রতিটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পালস অক্সিমিটার থাকা বাধ্যতামূলক করা উচিত।বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ডা. কামরুজ্জামান কামরুল জানান, শিশুদের জন্মের প্রথম ছয় মাস কেবল বুকের দুধ খাওয়ানো নিউমোনিয়া প্রতিরোধের বড় হাতিয়ার।