এফডিসির ঘটনায় ডিপজল-মিশা সওদাগরের দুঃখ প্রকাশপ্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেনগরমের তীব্রতা কমাতে কী কাজ করেছেন, জানালেন হিট অফিসারবিনা ভোটে নির্বাচিত ৩৩ প্রার্থীসব ধরনের যাত্রীবাহী ট্রেনে ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে
No icon

“ডিজিটাল সমাবর্তন” চায় না ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজ শিক্ষার্থীরা

সম্প্রতি ৫৩তম সমাবর্তনের তারিখ ঘোষণা করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, আগামী ১৯ নভেম্বর ২০২২ ইং শনিবার অনুষ্ঠিত হবে এই  সমাবর্তন।  সেখানে অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীদেরও অংশগ্রহণের জন্য বলা হয়েছে। তবে ঢাবির অধিভুক্ত অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষার্থীদের সরাসরি সমাবর্তন অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার সুযোগ থাকলেও সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্য করা হয়েছে আলাদা দুটি ভেন্যুর ব্যবস্থা।  

ডিজিটাল প্রজেক্টরের মাধ্যমে সমাবর্তনে অংশ নিতে হবে সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের। এজন্য ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। এরকম সমাবর্তন পদ্ধতিকে অধিভুক্ত কলেজের গ্র্যাজুয়েট শিক্ষার্থীরা বলছেন ‘স্ক্রিন সমাবর্তন’।

সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা বলছেন, প্রজেক্টরে অনুষ্ঠান দেখে হাত তালি দেওয়ার কোনো মানে হয় না। ভালো ফলাফল করা কৃতি শিক্ষার্থীদের কোনো ধরনের পদক দেওয়া হয় না। সমপরিমাণ টাকা নিয়েও আমাদের সব আয়োজন থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। আলাদা দিনে অতিথি নিয়ে আলাদা সমাবর্তন করার দাবি জানান সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা।

আবার কেউ কেউ বলছেন এটা এক রকম প্রহসনের সমাবর্তন। শিক্ষার্থীরা বলছেন ” সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের জন্য সেখানে না আছে কোন সম্মান, না আছে কোন আনুষ্ঠানিকতা। শুধুই প্রহসন।” 

কবি নজরুল কলেজের  মাস্টার্স (২০১৬) শিক্ষার্থী এস.এ আতিক নিউজটিভি২৪ কে বলেন, সমাবর্তন হলো একজন শিক্ষার্থীর আশা- আকাঙ্ক্ষার দিন, যেখানে সবাই সর্বোচ্চ পদস্থ এর হাত দিয়ে সনদ গ্রহন করে এবং এর মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থীকে সম্মানিত করা হয়।কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন সমাবর্তনে সম্মান তো দুরের কথা, একরকম অবহেলা করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, দেশের ঐতিহাসিক সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থী হিসেবে শিক্ষার্থীদের জন্য ঢাবির সাথে এক স্থানে না হলেও, আলাদা সম্মিলিত একটা স্থানে অনুষ্ঠানিকতা ও রাষ্ট্রপতি বা উচ্চ পদস্থ কারো দ্বারা সম্মানিত হবার অধিকার আছে।

অনেক শিক্ষার্থী বলছেন এই ডিজিটাল সমাবর্তন আর ঘরে বসে টিভি দেখা কিংবা যাত্রাপালা দেখা কিংবা বায়োস্কোপ দেখার মধ্যে কোন পার্থক্য নেই।

এ বিষয়ে সাত কলেজ সমন্বয়ক ও ইডেন মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক সুপ্রিয়া ভট্টাচার্য বলেন, আসলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এর আগের (৫২ তম) সমাবর্তনও তো এভাবে হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একটা ভেন্যু আর সাত কলেজের জন্য আলাদা দুইটা ভেন্যু। তখনও তারা প্রজেক্টের মাধ্যমে অংশ নিয়েছিল। একইভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩তম সমাবর্তনেও সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের আলাদা ভেন্যুতে প্রজেক্টের মাধ্যমে অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে।

তিনি আরো বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের তুলনায় সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের সংখ্যা অনেক বেশি। এ কারণে এক ভেন্যুতে আয়োজন করা সম্ভব নয়। এজন্য ভিন্ন ভিন্ন ভেন্যুতে আয়োজন করা হবে।

উল্লেখ্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও অন্যান্য অধিভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের ভেন্যু নির্ধারণ করা হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ। অপরদিকে কবি নজরুল সরকারি কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, সরকারি তিতুমীর কলেজ, সরকারি বাংলা কলেজ ও ঢাকা কলেজের ভেন্যু নির্ধারণ করা হয়েছে ঢাকা কলেজ মাঠে। এদিকে ইডেন মহিলা কলেজ ও বেগম বদরুন্নেসা কলেজের ভেন্যু নির্ধারণ করা হয়ে ইডেন মহিলা কলেজের মাঠে।