ইউক্রেনকে দূরপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রআগামীকাল ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফা ভোটগ্রহণশপথ নিলেন আপিল বিভাগের ৩ বিচারপতিহিট অ্যালার্ট আরও তিন দিন বাড়তে পারেরাঙামাটিতে সড়ক ও নৌপথে অবরোধ চলছে
No icon

দিনাজপুরে গ্রীষ্মকালীন পিঁয়াজ চাষে সাফল্য

দিনাজপুরে গ্রীষ্মকালীন পিঁয়াজ চাষে সাফল্য দেশে বার্ষিক চাহিদার তুলনায় কম উৎপাদিত হয় পিঁয়াজ। সংরক্ষণের সঠিক ব্যবস্থাপনার অভাবেও নষ্ট হয় অনেক পিঁয়াজ। এই ঘাটতি মেটাতে বিদেশ থেকে পিঁয়াজ আমদানি করতে হয়। রবি মৌসুমে অন্যান্য ফসল বাদ দিয়ে পিঁয়াজের আবাদ বৃদ্ধি সম্ভব নয়, তাই সরকার গ্রীষ্মকালীন অর্থাৎ খরিপ মৌসুমে পিঁয়াজ আবাদের কর্মপরিকল্পনা হাতে নিয়েছে।

দিনাজপুরে গ্রীষ্মকালীন পিঁয়াজ চাষ বৃদ্ধিতে তারা কাজ করছেন। তাদের সার্বিক সহযোগিতায় উৎপাদিত গ্রীষ্মকালীন পিঁয়াজের আকার, স্বাদ, গন্ধ ও পুষ্টিমান অনেক উন্নত। কৃষিপ্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপে উপজেলায় ২৩০ জন কৃষককে ১ কেজি করে এন-৫৩ জাতের গ্রীষ্মকালীন পিঁয়াজের বীজ, ডেপ, পটাশ সারসহ পলিথিন ও অন্যান্য উপকরণ সরবরাহ করা হয়েছে। এই পিঁয়াজ চাষে ঘুরছে অনেক কৃষকের ভাগ্যের চাকা। 

কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির নতুন উদ্ভাবিত এন-৫৩ জাতের পিঁয়াজ চাষ করে সফলতা পেয়েছেন চাষিরা। তিনি ১০ শতক জমিতে এন-৫৩ জাতের গ্রীষ্মকালীন পিঁয়াজ চাষ করেছেন। তার ক্ষেতে উৎপাদিত প্রতিটি পিঁয়াজের ওজন ২০০-৩০০ গ্রাম। তিনি এ জমি থেকে ১০-১৫ হাজার টাকার পিঁয়াজ বিক্রি করতে পারবেন বলে আশাপোষণ করছেন। তার জমিতে উৎপাদিত পিঁয়াজ দেখে অন্যান্য চাষিরাও এ জাতের পিঁয়াজ চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।

তিনি আরো বলেন, জুলাই-আগস্ট মাসে বীজবপণ করে ২৫-৩০ দিন বয়সের চারা রোপন করতে হয়। ৯০ দিনের মধ্যেই এ পিঁয়াজ সংগ্রহ করা সম্ভব। প্রথম পর্যায়ে রোপণকৃত পিঁয়াজ ইতিমধ্যে বাজারে আসতে শুরু করেছে। গাছসহ এ পিঁয়াজ বিক্রি করে আর্থিকভাবে লাভবান হবেন চাষিরাও।