এফডিসির ঘটনায় ডিপজল-মিশা সওদাগরের দুঃখ প্রকাশপ্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেনগরমের তীব্রতা কমাতে কী কাজ করেছেন, জানালেন হিট অফিসারবিনা ভোটে নির্বাচিত ৩৩ প্রার্থীসব ধরনের যাত্রীবাহী ট্রেনে ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে
No icon

২৭শ কোটি টাকার দ্বিতীয় প্যাকেজ অনুমোদন

করোনা মহামারির প্রভাব মোকাবিলায় ২ হাজার ৭শ কোটি টাকার দ্বিতীয় প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে সরকার। এর মধ্যে ১৫শ কোটি টাকা ব্যয় হবে ক্ষুদ্র, কুটির ও মাঝারি শিল্প খাত ও নারী উদ্যোক্তাদের মধ্যে।আর ১২শ কোটি টাকা ব্যয়ে হবে ১৫০টি উপজেলায় সব দরিদ্র বয়স্ক, বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্ত নারীদের ভাতা বাবদ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ দুটি প্রণোদনা প্যাকেজ কর্মসূচি অনুমোদন করেছেন। অর্থ মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।এর আগে সরকার অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে প্রথম প্যাকেজের আওতায় ১ লাখ ২১ হাজার কোটি টাকার ২১টি প্রণোদনা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। এখন আরও দু’টি নতুন প্রণোদনা ঘোষণার ফলে মোট প্রণোদনা প্যাকেজের সংখ্যা হলো ২৩টি। যার মোট আর্থিক পরিমাণ ১ লাখ ২৪ হাজার ৫৩ কোটি টাকা। এই প্যাকেজের আকার জিডিপির ৪ দশমিক ৪৪ শতাংশের সমান।নতুন প্যাকেজ প্রসঙ্গে ওই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, আমার বিশ্বাস প্রধানমন্ত্রী যে উদ্দেশ্যে এ দুটি নতুন প্রণোদনা ঘোষণা করেছেন তা অবশ্যই কার্যকর হবে। এর বাস্তবায়ন অবিলম্বে শুরু হবে। তিনি বলেন এর মাধ্যমে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী অত্যন্ত উপকৃত হবে। পাশাপাশি আমাদের অর্থনীতিতেও আরও গতি সঞ্চার হবে।

করোনা প্রভাব মোকাবিলায় এসএমই খাতে গতি সঞ্চার, গ্রামীণ প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন এবং অতিদরিদ্র বয়স্ক ও বিধবাদের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি সম্প্রসারণের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী নতুন দুটি প্রণোদনা কর্মসূচি অনুমোদন করেছেন। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায় ১৫শ কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় ক্ষুদ্র, কুটির ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) খাত ও নারী উদ্যোক্তাদের জন্য নেওয়া কার্যক্রম আরও সম্প্রসারণ করা হবে।এ জন্য এসএমই ফাউন্ডেশনকে ৩০০ কোটি টাকা, বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প সংস্থাকে (বিসিক) ১০০ কোটি টাকা এবং জয়িতা ফাউন্ডেশনকে ৫০ কোটি টাকা প্রদান করা হবে। পাশাপাশি, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করতে এনজিও ফাউন্ডেশনকে ৫০ কোটি টাকা, সোস্যাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনকে ৩০০ কোটি টাকা, পল্লী দারিদ্র্য বিমোচন ফাউন্ডেশনকে ৩০০ কোটি টাকা, ক্ষুদ্র কৃষক উন্নয়ন ফাউন্ডেশনকে ১০০ কোটি টাকা এবং বাংলাদেশ পল্লি উন্নয়ন বোর্ডকে ৩০০ কোটি টাকা প্রদান করা হবে।

দ্বিতীয় প্যাকেজের আওতা ১২০০ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে। আগামী ২০২১-২২ অর্থবছরে দেশের ১৫০টি উপজেলায় দরিদ্র সব বয়স্কের এবং বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্ত সব নারীকে এই কর্মসূচির আওতায় ভাতা দেওয়া হবে।উল্লেখ্য, করোনা মোকাবিলায় অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার ও প্রণোদনা প্যাকেজের নানা দিক নিয়ে অর্থ বিভাগ সম্প্রতি তিনটি মতবিনিময় সভা আয়োজন করে। সেখানে ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ, ব্যাংক, উন্নয়ন সহযোগী দেশ ও সংস্থা, গবেষণা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন খাতের অংশীজন, প্রেস ও মিডিয়া প্রতিনিধিসহ সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।সভাগুলোতে করোনা মোকাবিলায় গ্রামীণ অর্থনীতিকে বেগবান করার লক্ষ্যে ব্যাংক ব্যবস্থার পাশাপাশি কুটির, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সরকারি ও আধাসরকারি সংস্থা/ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ঋণ কার্যক্রমের পরিধি বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়।এছাড়া নারী-উদ্যোক্তা উন্নয়ন, দারিদ্র্য হ্রাসের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন অব্যাহত রাখতে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন এবং অতিদরিদ্র অসহায় পরিবারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি সম্প্রসারণের জন্য সুপারিশ করা হয়।