আমিরাতে বৃষ্টিতে গাড়িতে আটকা পড়ে মারা গেলেন দুই জন সেরেলাক-নিডোয় অতিরিক্ত চিনি, পরীক্ষা করবে বিএফএসএজাতিসংঘে ফিলিস্তিনের পূর্ণ সদস্যপদ আটকে দিল যুক্তরাষ্ট্রভারতে লোকসভা নির্বাচনের ভোট শুরুব্যাংক আলফালাহর ব্যবসা অধিগ্রহণ করবে ব্যাংক এশিয়া
No icon

গ্যাস সরবরাহে সতর্ক সংকেত

সঞ্চালন ও বিতরণ পর্যায়ে যথাযথভাবে গ্যাস সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ না করায় ঢাকার একটি বড় অংশজুড়ে সোমবার রাতে অস্বাভাবিক গ্যাস লিকেজের ঘটনা বড় ধরনের সতর্ক সংকেত হিসেবে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বিশ্লেষকরা বলছেন, গ্যাস সঞ্চালন ও বিতরণ লাইন যে কতটা ঝুঁকিপূর্ণ তা আবারও টের পাওয়া গেল। তিতাসের ইমার্জেন্সি টিম দ্রুত সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ না করলে গ্যাস পাইপলাইন বিস্ফোরণ হয়ে ভয়াবহ বিপদ হতে পারত।সোমবার গ্যাসের প্রকট গন্ধে নগরবাসীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ করে রাতেই তিতাস কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলেও ভয় কাটেনি ঢাকাবাসীর। গ্যাস লাইনে ছিদ্রের কারণে গত দুই বছরে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে একাধিক বড় ধরনের বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে শতাধিক হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।পুরোনো, জীর্ণ এবং অসংখ্য ছিদ্র থাকার কারণে এমনিতেই তিতাসের বিতরণ নেটওয়ার্ক খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। এর মধ্যে গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি (জিটিসিএল) এবং তিতাসের অপারেশন বিভাগের সংশ্লিষ্টদের গাফিলতির কারণে রাজধানীবাসী সোমবার রাতে বড় ধরনের ঝুঁকির মুখে পড়েছিল।

তাদের মতে, সময়মতো গ্যাসের সরবরাহ না কমানোর কারণেই লাইনের চাপ বেড়ে যায়। এমন ঘটনার দায় পেট্রোবাংলাসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো এড়াতে পারে না। সোমবার রাতের ঘটনার পরও গ্যাস কোম্পানিগুলোর টনক খুব বেশি নড়েনি বলে মনে করছেন খাত-সংশ্লিষ্টরা। কারণ, ঘটনার জন্য সরকার শুধু ঈদের ছুটিতে গ্যাসের চাহিদা কমে যাওয়াকে দায়ী করে দায় এড়িয়ে যেতে চাচ্ছে। বিতরণ লাইনের দুরবস্থা, পরিচালনায় ঘাটতির বিষয়টি নিয়ে তেমন আলোচনা নেই। এমনকি ঘটনার তদন্তে গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত কোনো কমিটি গঠন করা হয়নি।সোমবার রাতে রাজধানীর বসুন্ধরা, বাড্ডা, রামপুরা, মহাখালী, মগবাজার, দিলু রোড, ইস্কাটন, হাজারীবাগসহ বিভিন্ন এলাকায় গ্যাসের গন্ধ ছড়িয়ে পড়ায় আতঙ্ক দেখা দেয়। এ বিষয়ে তিতাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হারুনুর রশীদ মোল্লাহ বলেন, ঈদের ছুটিতে গ্যাসের চাহিদা কম থাকায় সরবরাহ বেশি থাকায় পাইপলাইনে চাপ বেড়ে গেছে। অনেক স্থানে লাইনে লিকেজ থাকায় গন্ধ ছড়িয়েছে।