যুদ্ধবিরতি সম্পর্কে ইসরায়েলের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পেলো হামাসঝুম বৃষ্টিতে স্বস্তি ফিরলো সিলেটেজলবায়ু পরিবর্তনজনিত কতটা ঝুঁকিতে বাংলাদেশতানজানিয়ায় ভারী বৃষ্টি-ভূমিধসে নিহত ১৫৫মাসের শুরুতে বৃষ্টির আভাস, গরম কমা নিয়ে সংশয়
No icon

এ মাসেই মুক্তি মিলতে পারে বিএনপির শীর্ষ নেতাদের

জাতীয় নির্বাচনের পর দেশের উত্তপ্ত রাজনীতি এখন অনেকটাই স্তিমিত। নেই রাজপথের কোনো আন্দোলন। সরকারবিরোধী শিবির ব্যস্ত সংগঠন গোছাতে। পাশাপাশি আইনি প্রক্রিয়ায় কারাবন্দি নেতাকর্মীর মুক্তির বিষয়ে জোর তৎপরতা চালাচ্ছে বিএনপি। সরকারের নমনীয় মনোভাবে জামিনে মুক্তি মিলছে একের পর এক নেতাকর্মীর। দলের বেশির ভাগ নেতাকর্মী কারাগারের বাইরে মুক্ত বাতাসে ফিরতে পারলেও অন্তরীণ রয়েছেন দলটির শীর্ষ নেতারা। মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ আরও অনেকের জামিনের অপেক্ষায় আছেন তাদের আইনজীবীসহ পরিবারের স্বজনরা। খুব শিগগির তাদেরও মুক্তি মিলবে বলে আশাবাদী তারা।তবে গত বছরের শেষের দিকে যেসব নেতার বিরুদ্ধে পুরোনো মামলায় সাজার রায় ঘোষণা করা হয়েছে, তাদের মুক্তি আরও বিলম্বিত হতে পারে বলে শঙ্কা আইনজীবীদের। তারা বলছেন, রায়ের কপি সম্পন্ন না হওয়ায় এবং তা পেতে বিলম্ব হওয়ায় এ জটিলতা বাড়ছে। গত এক বছরে সারাদেশে শতাধিক মামলায় প্রায় দুই হাজার নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে সাজা ঘোষণা করেছেন আদালত, যাদের মধ্যে অনেকে কারাবন্দি। বিএনপির দাবি, গত বছরের ২৮ অক্টোবর ঢাকায় মহাসমাবেশ পণ্ড হয়ে যাওয়ার পর দলের অনেক সিনিয়র নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়। শুরু হয় সারাদেশে সাঁড়াশি অভিযান। ওই মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত সারাদেশে ১ হাজার ১৮৪ মামলায় ১ লাখ ৫ হাজার ৬৮৪ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ সময়ে ২৭ হাজার ৫১৪ জনকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে নেওয়া হয়, একজন সাংবাদিকসহ মৃত্যুবরণ করেন ২৮ জন। ৯ হাজার ৭০৪ জন আহত হন বলে দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

দলটির আইনজীবীরা জানান, ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে বিরোধী দলের নেতাকর্মীর জামিনে মুক্তি না মিললেও এখন তা ধীরে ধীরে শুরু হয়েছে। সরকারের নমনীয় মনোভাবে সম্প্রতি আইনি প্রক্রিয়ায় তা আরও গতিশীল হয়েছে। এ কারণে কারাগারে আটক বেশির ভাগ নেতাকর্মী জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। আবার এখনও অনেক নেতাকর্মী কারাবন্দি রয়েছেন। তাদের মুক্তির প্রক্রিয়াটিও দ্রুত করা হচ্ছে।তারা বলেন, জামিনে মুক্তি পাওয়া নেতাদের মধ্যে বিএনপির শীর্ষ নেতাদের কেউ নেই। এর মধ্যে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, হাবিবুর রহমান হাবিব, আতাউর রহমান ঢালী, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন, সদস্য সচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ রবিউল আলম রবি, হাবিবুল ইসলাম হাবিব, যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নিরব, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু, যুবদলের সাবেক সভাপতি এসএম জাহাঙ্গীর, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন, স্বেচ্ছাসেবক দলের আজিজুর রহমান মুসাব্বিরসহ আরও অনেকে রয়েছেন।