যুদ্ধবিরতি সম্পর্কে ইসরায়েলের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পেলো হামাসঝুম বৃষ্টিতে স্বস্তি ফিরলো সিলেটেজলবায়ু পরিবর্তনজনিত কতটা ঝুঁকিতে বাংলাদেশতানজানিয়ায় ভারী বৃষ্টি-ভূমিধসে নিহত ১৫৫মাসের শুরুতে বৃষ্টির আভাস, গরম কমা নিয়ে সংশয়
No icon

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সংলাপ শুরুর আশা ঢাকার

মিয়ানমারে সাধারণ নির্বাচনে নোবেল বিজয়ী অং সান সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) নিরঙ্কুশ বিজয়ের পথে রয়েছে। ফলে দেশটিতে আবারও সুচির এনএলডি সরকার গঠন করতে যাচ্ছে।নতুন সরকার রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আন্তরিক হবে কি না, সেদিকে ঢাকার বিশেষ নজর রয়েছে। বাংলাদেশ সরকার মনে করে, মিয়ানমারে নতুন সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে সংলাপ ফের শুরু করা সম্ভব হবে।যদিও পর্যবেক্ষকরা বিষয়টি নিয়ে খুবই সতর্ক। তারা বলছেন, এখনই চূড়ান্ত কিছু বলা যাবে না। নতুন সরকার কী দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করে তা জানতে আরও অপেক্ষা করতে হবে।পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন সোমবার আশা প্রকাশ করেছেন যে, মিয়ানমারে নতুন সরকার গঠনের পর রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ, মিয়ানমার ও চীনের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় আলোচনা পুনরায় শুরু করা হবে।তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমরা ইতিবাচক রয়েছি। তিন দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে এ সংলাপ বেইজিংয়ে হওয়ার কথা রয়েছে। মন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাদের মধ্যে আস্থার অভাব রয়েছে যা মিয়ানমারকে দূর করতে হবে।মিয়ানমারের তরফে বলা হয়েছে, রোহিঙ্গাদের মাঝে বিতরণের লক্ষ্যে রাখাইন রাজ্যের অবস্থা সম্পর্কে একটা পুস্তিকা তারা প্রকাশ করেছে।

মিয়ানমারের নির্বাচনের ফলাফল সম্পর্কে জানতে চাইলে দেশটির প্রভাবশালী পত্রিকা মিজিমা সম্পাদক সোয়ে মিন্ট ইয়াঙ্গুন থেকে টেলিফোনে সোমবার যুগান্তরকে বলেন, অং সান সু চি&র এনএলডি নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাচ্ছেন।আনুষ্ঠানিক ফলাফল পেতে আরও ২-৩ দিন লাগবে। তবে পার্টির অভ্যন্তরে ফলাফল সংগ্রহ করা হয়েছে। তার ভিত্তিতে দলটি অবিস্মরণীয় বিজয়ের দাবি করছে জানিয়ে সোয়ে মিন্ট বলেন, সু চি আবারও সরকার গঠন করতে যাচ্ছেন।ইয়াঙ্গুন থেকে মিয়ানমারের নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করছেন এমন একজন বিদেশি কূটনীতিক টেলিফোনে বলেছেন, এনএলডি গতবারের চেয়ে ভালো ফলাফল করবে বলে মনে হচ্ছে।মিয়ানমারের উচ্চ ও নিুকক্ষ মিলিয়ে ৪৭৬ আসনের মধ্যে গত বছর ৩৯০ আসন পেয়েছিল এনএলডি। অপরদিকে সেনা সমর্থিত ইউনিয়ন সলিডারিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি (ইউএসডিপি গত বছর ৪১ আসন পেয়েছিল।এ বছর তারা খুব খারাপ ফল করছে। মিয়ানমারে ২৫ শতাংশ আসন সেনাবাহিনীর জন্য সংরক্ষিত। সরকারের সঙ্গে ক্ষমতা ভাগাভাগি করে সেনাবাহিনী। তারা প্রতিরক্ষা, স্বরাষ্ট্র এবং অভিবাসন ও জনসংখ্যাবিষয়ক মন্ত্রণালয় পেয়ে থাকে।