হালাল খাদ্যের বাজারে বাংলাদেশের অপার সম্ভাবনা দেখছেন ব্যবসায়ীরা পাসের হার কমেছে ,জিপিএ-৫ বেড়েছে নেপাল থেকে বিদ্যুৎ আসছে প্রতি ইউনিট ৯ টাকা ইউক্রেনের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় রাশিয়ায় নিহত অন্তত ১৩বাসের ‘গেটলক সিস্টেম’ চালু হচ্ছে আজ
No icon

রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত চীনের

তাইওয়ান ঘিরে সম্প্রতি তৈরি হওয়া উত্তেজনা এবং পরিবর্তিত বৈশ্বিক রাজনীতিতে নিজেদের অবস্থান বাংলাদেশের কাছে তুলে ধরেছেন ঢাকা সফররত চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই। এ ছাড়া রোহিঙ্গা সংকট সমাধানেও নিজেদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন তিনি। অন্যদিকে এক চীন নীতিতে সমর্থন জানিয়ে তাইওয়ান ইস্যুতে বাংলাদেশ তার ভারসাম্যপূর্ণ নীতি অব্যাহত রাখবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। গতকাল রবিবার সকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেনের সঙ্গে বৈঠক করেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বৈঠকে দুই দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়সহ তাইওয়ান ইস্যু নিয়েও আলোচনা হয়।এদিকে দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠকের পর তাদের উপস্থিতিতে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে চারটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। এর মধ্যে ছিল দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, কচা নদীর ওপর নির্মিত সেতু হস্তান্তর, সাংস্কৃতিক বিনিময় চুক্তি নবায়ন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে মেরিন সায়েন্সেস শিক্ষা বিষয়ে সহযোগিতার বিষয়ে সমঝোতা।

বৈঠকের পর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বলেন, চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফর রাজনৈতিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে যে সুসম্পর্ক আছে সেটিকে অনেক দূর নিয়ে যেতে চান। তারা সব সময় বাংলাদেশের পাশে থাকবে। তাইওয়ান নিয়ে চীনকে সমর্থন দিলে অন্যদের সঙ্গে মতবিরোধ হতে পারে, এ বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আমরা স্বাধীন, সার্বভৌম দেশ। আমাদের পররাষ্ট্র নীতি হচ্ছে সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়। আমাদের একটি স্বাধীন পররাষ্ট্র নীতি আছে। আমরা সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব সম্পর্ক রেখেই চলেছি। কেউ কেউ কমবেশি অসন্তুষ্ট হবে। কিন্তু আমরা দীর্ঘদিন ধরে এটি বজায় রেখেছি। আমরা ওয়ান চায়না পলিসি নিয়েছি। বর্তমানে বিশ্বের যে অবস্থা সেখানে নতুন করে একটি স্নায়ুযুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এখন পৃথিবী একটি সংকটাপন্ন অবস্থায় আছে। এ অবস্থায় আমাদের একটি অবস্থান নিতে হবে। আমরা এখনো স্বাধীন একটি নীতি পরিচালিত করে আসছি। চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশকে জানিয়েছেন, যদি আমাদের বিশেষ ধরনের অনুরোধ থাকে তবে তাদের সঙ্গে যেন যোগাযোগ করি।

চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী গ্লোবাল ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভ নিয়ে বাংলাদেশকে অবহিত করেছেন জানিয়ে ড. মোমেন বলেন, আমরা তাকে বলেছি সম্প্রতি অনেকে এ ধরনের প্রস্তাব নিয়ে আসছে। আমরা কোনো দলে যাইনি। চীনের প্রস্তাব স্টাডি করব। তার পর আমাদের অবস্থান জানাব।এদিকে বৈঠকর পর তাৎক্ষণিক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঘণ্টাখানেক বৈঠক করেন। এর পর তারা চারটি চুক্তি ও সমঝোতা সই করেছেন। চীন সব রাষ্ট্রের জন্য একটি অভিন্ন ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার লক্ষ্যে যৌথ সহযোগিতা চায়। এ উদ্যোগে তারা বাংলাদেশকে তারা পাশে চেয়েছে। চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলোচনায় উল্লেখ করেছেন, কিছু রাষ্ট্র আছে যারা ভুল বোঝে বা চীনকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করে। ওই বিষয়ে কিছুটা কথা হয়েছে। এ ছাড়া ওয়াং ই বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন শুরুর জন্য একটি সমাধান খুঁজতে তাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন।