বাংলাদেশসহ ছয় দেশে সীমিত পরিমাণে পিঁয়াজ রপ্তানি করবে ভারততাপপ্রবাহের মধ্যেই আজ খুলছে স্কুল-কলেজযুদ্ধবিরতি সম্পর্কে ইসরায়েলের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পেলো হামাসঝুম বৃষ্টিতে স্বস্তি ফিরলো সিলেটেজলবায়ু পরিবর্তনজনিত কতটা ঝুঁকিতে বাংলাদেশ
No icon

ভাসমান ১৯০ রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করছে না কেউ

১৯০ জন রোহিঙ্গাকে নিয়ে আন্দামন সাগরে ভাসছে একটি নৌকা। জাতিসংঘের অনুরোধ সত্ত্বেও উদ্ধার করছে না কোনো দেশ।জাতিসংঘ জানিয়েছে, প্রায় একমাস ধরে নৌকাটি আন্দামান সাগর ও বঙ্গোপসাগরে ভাসছে। খাবার ও পানি প্রায় শেষ। ইতোমধ্যে নৌকায় ভাসমান ২০ জন রোহিঙ্গার মৃত্যু হয়েছে।ইউএনএইচসিআরের এশিয়া ও প্রসান্ত মহাসাগরীয় এলাকার ডিরেক্টর ইন্দ্রিকা রাতওয়াতে বলেছেন, এই ভয়াবহ ঘটনার অবসান হওয়া দরকার। তারা সবাই মানুষ। ওই অঞ্চলের দেশগুলি যেন এই বিপন্ন মানুষগুলির প্রাণ বাঁচায়।রোহিঙ্গাদের এই নৌকাটিকে প্রথমে দেখা যায় থাইল্যান্ডের কাছে সমুদ্রে। তারপর নৌকাটিকে দেখা যায় ইন্দোনেশিয়ার কাছে। এখন তা ভারতের আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের কাছে রয়েছে।ইউএনএইচসিআর বারবার এই অঞ্চলের দেশগুলির কাছে আবেদন জানিয়ে বলেছে, তারা যেন বিপন্ন রোহিঙ্গাদের উদ্ধার করে। গত সপ্তাহে তারা ভারতকে অনুরোধ জানায়, রহিঙ্গাদের যেন ইন্ডিয়ান মেরিন রেসকিউ সেন্টারে নিয়ে আসা হয়। তারপরেও কিছু হয়নি।ইন্দ্রিকা জানিয়েছেন, ২০২২ সালে বঙ্গোপসাগর ও আন্দামান সাগরে কমপক্ষে দুইশজন মারা গেছেন। তাদের পক্ষে প্রতিটি ঘটনা যাচাই করা খুবই কঠিন। কিন্তু প্রতিটি দেশের দায়িত্ব আছে, মানবিকতার খাতিরে এই মানুষগুলোকে নিজেদের দেশে নামতে দেওয়া।

তিনি জানিয়েছেন, খুব দুঃখের সঙ্গে বলতে হচ্ছে, এই জলপথকে চলতি বছরের অন্যতম ভয়াবহ জলপথ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে।একদিন আগেই জাতিসংঘের মানবাধিকার বিশেষজ্ঞ টম অ্য়ান্ড্রুজ এক বিবৃতিতে বলেছেন, গোটাবিশ্ব যখন নতুন বছর নিয়ে ব্যস্ত, তখন একদল বেপরোয়া রোহিঙ্গা নারী, পুরুষ ও শিশু নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে সমুদ্রে চলাচলের অনুপযুক্ত নৌকা নিয়ে সমুদ্রে ভাসছেন। এটা মেনে নেয়া যায় না।দুই সপ্তাহ আগে ভিয়েতনামের তেল সংস্থার একটি জাহাজ ডুবন্ত নৌকা থেকে ১৫৪ জন রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করে। তারা দলটিকে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেয়।গত সপ্তাহান্তে শ্রীলঙ্কার সেনারা ১০৪ জন রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করে। টম অ্য়ান্ড্রুজের মতে, গোটাবিশ্বকে এদের সাহায্য করতে এগিয়ে আসতে হবে।