দেশজুড়ে তাপপ্রবাহ বইছে, কিছু স্থানে বৃষ্টির আভাসযুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলবিএনপির আরও চার নেতাকে বহিষ্কারবিশ্বকাপে বাংলাদেশের দুই প্রস্তুতি ম্যাচের সূচি ঘোষণা রাস্তা থেকে ছিটকে পড়ল রিলাক্স পরিবহনের বাস, নিহত ৫ আহত ১৫
No icon

ভোজ্যতেলের ভ্যাট শুধু আমদানি পর্যায়েই

তিন স্তরে নয়, শুধু আমদানি পর্যায়েই ভোজ্যতেলের সম্পূর্ণ ভ্যাট পরিশোধ করতে চান ব্যবসায়ীরা। এর ফলে ভোজ্যতেলের বেচাকেনায় বিভিন্ন পর্যায়ে হয়রানি বন্ধ হবে বলে তারা মনে করছেন। পাশাপাশি তেলের বাজারও স্থিতিশীল হবে। ব্যবসায়ীদের এ প্রস্তাবের সঙ্গে একমত পোষণ করে এ রকম সুপারিশও করেছে ট্যারিফ কমিশন। সংশ্নিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।সম্প্রতি বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনে ভোজ্যতেলের ওপর শুধু আমদানি পর্যায়েই ভ্যাট নেওয়ার জন্য আবেদন দিয়েছিল ভোজ্যতেল ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন। এই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শুধু আমদানি পর্যায়েই প্রস্তাবিত ভ্যাট নেওয়ার পক্ষে মত দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ও। সুপারিশটি এখন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) আছে। ট্যারিফ কমিশনে দেওয়া আবেদনে সংগঠনটি জানায়, বর্তমানে ভোজ্যতেলের মধ্যে সয়াবিন, পাম ও পাম অলিন তেলের ওপর আমদানি পর্যায়ে ১৫ শতাংশ ভ্যাট ও ৫ শতাংশ আগাম কর (এটি), উৎপাদন পর্যায়ে ১৫ শতাংশ ভ্যাট এবং বিক্রয় ও সরবরাহ পর্যায়ে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্যের ওপর ৫ শতাংশ হারে ভ্যাট রয়েছে। আমদানি পর্যায়ে প্রতি টন অপরিশোধিত ভোজ্যতেলের আন্তর্জাতিক গড় মূল্য ৬৫০ ডলার। ডলার ৮৫ টাকা হিসাবে প্রতি টনের গড় দাম ৫৫ হাজার ২৫০ টাকা। এর আমদানি পর্যায়ে ভ্যাট ১৫ শতাংশ হিসাবে প্রতি টনে আট হাজার ২৯০ টাকা, উৎপাদন পর্যায়ে প্রতি টনে আট হাজার টাকা মূল্য সংযোজনের ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট এক হাজার ২০০ টাকা ও বিক্রয় মূল্যে ৯০ হাজার টাকার ওপর ৫ শতাংশ হিসাবে চার হাজার ৫০০ টাকা পড়ে। এ হিসাবে প্রতি টনে তিন পর্যায়ে ভ্যাট দিতে হয় ১৩ হাজার ৯৯০ টাকা।