যুদ্ধবিরতি সম্পর্কে ইসরায়েলের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পেলো হামাসঝুম বৃষ্টিতে স্বস্তি ফিরলো সিলেটেজলবায়ু পরিবর্তনজনিত কতটা ঝুঁকিতে বাংলাদেশতানজানিয়ায় ভারী বৃষ্টি-ভূমিধসে নিহত ১৫৫মাসের শুরুতে বৃষ্টির আভাস, গরম কমা নিয়ে সংশয়
No icon

স্বাভাবিক নিয়মে ফিরছে ব্যাংক, লেনদেন ৪টা পর্যন্ত

দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সচল রাখা এবং সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায়! করোনা প্রতিরোধে চলমান কঠোর বিধিনিষেধ (১১ আগস্ট) থেকে শিথিল করা হয়েছে। ওইদিন থেকে স্বাভাবিক নিয়মে ব্যাংকিং কার্যক্রম চলবে। অর্থা আগামী বুধবার (১১ আগস্ট) থেকে স্বাভাবিক লেনদেনের সময়সূচিতে ফিরবে ব্যাংক। কর্মীদের পালাক্রমে দায়িত্বপালনও উঠে যাবে। খোলা থাকবে সব শাখা ও অফিস। ব্যাংক লেনদেন চলবে সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। এ ছাড়া ব্যাংক খোলা থাকবে বিকেল ৬টা পর্যন্ত। সোমবার (৯ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফ-সাইট সুপারভিশন থেকে এ বিষয়ে একটি নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। অর্থা দীর্ঘ ১৬ মাস পর স্বাভাবিক নিয়মে ফিরছে ব্যাংকিং কার্যক্রম। এর আগে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ পর্যন্ত স্বাভাবিক নিয়মে ব্যাংক লেনদেন চললেও গতবছরের ২৯ মার্চ থেকে সীমিত আকারে খোলা রাখা হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ১১ আগস্ট থেকে স্বাভাবিক ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালিত হবে। এ সময়ে লেনদেন হবে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। আর লেনদেন পরবর্তী কার্যক্রম চলবে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত।

এতে বলা হয়, অফিসের কর্ম পরিবেশে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার পাশাপাশি সব ক্ষেত্রে মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করতে হবে এবং স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের (প্রজ্ঞাপনে) বলা হয়েছে, করোনার কারণে ব্যাংক সেবা, শাখা খোলা ও কর্মীদের বিষয়ে যেসব নির্দেশনা ছিল, আগামী বুধবার থেকে তার কোনোটাই কার্যকর থাকবে না। তবে অফিসের কর্মপরিবেশে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সেবা দিতে হবে। পাশাপাশি মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।

করোনার কারণে এতো দিন ব্যাংক সেবা সীমিত করে রেখেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। সর্বশেষ করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গত ২৮ জুন সীমিত ও পরে ১ জুলাই কঠোর বিধিনিষেধ শুরু হয়। তারপর ৪ জুলাই রবিবার ব্যাংকের লেনদেন বন্ধ ছিল। পরের রবিবার অর্থা ১১ জুলাইও ব্যাংকের শাখা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক।

পরে আবার করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে গত ২৩ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত কঠোর লকডাউন জারি করা হয়। লকডাউনের আওতায় সপ্তাহের রবিবার ও বুধবার ব্যাংক বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।