আজ বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসএপ্রিলে ৪৩ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম বৃষ্টি অবশেষে রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টিবজ্রসহ শিলা বৃষ্টি হতে পারে যেসব অঞ্চলে আজ শুরু হচ্ছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন
No icon

সময়ের সবচেয়ে ব্যস্ততম নায়িকা শবনম ইয়াসমিন বুবলী

ঢালিউডের বর্তমান সময়ের আলোচিত নায়িকাদের মধ্যে অন্যতম শবনম ইয়াসমিন বুবলী। চলতি সময়ের সবচেয়ে ব্যস্ততম নায়িকাও বলা চলে। একের পর এক তিনি সিনেমাতে অভিনয় করে যাচ্ছেন। তার অভিনীত সর্বশেষ আলোচিত সিনেমা ছিল চয়নিকা চৌধুরী পরিচালিত ‘প্রহেলিকা’। এতে পুরো সিনেমার মধ্যে তার অভিনয়ই সবচেয়ে বেশি প্রশংসিত হয়েছে। বলা যায় প্রহেলিকাতে তার দুর্দান্ত অভিনয় দেখে দেশ-বিদেশে তার ভক্ত যেমন বেড়েছে, ঠিক তেমনি তার কাজও বেড়েছে দ্বিগুণ গতিতে। শাকিব ছাড়া অন্য দুই নায়কের সিনেমায় বুবলী

এদিকে গতবারের মতো আসন্ন রোজার ঈদেও একসঙ্গে দুই সিনেমা মুক্তি পাচ্ছে। একটি মিশুক মনির পরিচালিত ‘দেয়ালের দেশ’, অন্যটি জসীম উদ্দিন জাকিরের ‘মায়া : দ্য লাভ’। এবার ঈদে বুবলীই একমাত্র নায়িকা; যিনি নিজেই নিজের মুখোমুখি হচ্ছেন। ‘দেয়ালের দেশ’ সিনেমায় বুবলীর বিপরীতে আছেন শরীফুল রাজ। ‘মায়া দ্য লাভ’-এ তার বিপরীতে আছেন আনিসুর রহমান মিলন, সাইমন ও রোশান। ‘দেয়ালের দেশ’ সিনেমার ‘বেঁচে যাওয়া ভালোবাসা’ গানে নিজের উপস্থিতি দিয়ে এরই মধ্যে দর্শককে মুগ্ধ করেছেন বুবলী।

এ ছাড়াও দুই দিন আগে প্রকাশিত ‘মায়া : দ্য লাভ’ সিনেমার ‘তুমি ছাড়া চাই না কিছু’ গানেও বুবলীর গ্ল্যামারাস উপস্থিতি দর্শককে মুগ্ধ করে। দর্শকের মনে এই দুই সিনেমা নিয়ে এরই মধ্যে ভীষণ প্রত্যাশার সৃষ্টি হয়েছে। বুবলী বলেন,‘ আমি আমার ভক্ত-দর্শকের প্রতি আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ যে আমার দুটি সিনেমার দুটি গানই তারা ভীষণভাবে পছন্দ করেছেন। আমার বিশ্বাস দুটি সিনেমাই তাদের ভীষণ ভালো লাগবে। দুটি সিনেমার গল্প দুই রকম। দুইজন পরিচালকই যথেষ্ট শ্রম ও মেধা দিয়ে সিনেমা দুটি নির্মাণ করার চেষ্টা করেছেন। 

দুই ছবিতে নিজের চরিত্র নিয়ে এই নায়িকা বলেন, দুটি সিনেমাতে আমার দুই ধরনের চরিত্র যথাযথভাবে ফুটিয়ে তোলার জন্য আমি কী পরিমাণ শ্রম দিয়েছি তা ভাষায় প্রকাশের নয়। অভিনয়ের প্রতি মনে-প্রাণে প্রেম থাকতে হয়। সেই প্রেমটা আমার আছে বলেই আমার কাছে আমার চরিত্রগুলো নিজের মধ্যে লালন করে আমি আমার শতভাগ চেষ্টা দিয়ে অভিনয় করি। আমার বিশ্বাস দুটি সিনেমাই দর্শকের মন ভরিয়ে দেবে। আর আমার জন্য দোয়া-আশীর্বাদ করবেন যেন আগামীতে আমি আরও ভালো ভালো সিনেমা দর্শককে উপহার দিতে পারি।’Bubly-বুবলি

দুইজন পরিচালকেরই প্রত্যাশা যে ‘মায়া দ্য লাভ’, ‘দেয়ালের দেশ’ সিনেমাতে বুবলী এত অসাধারণ অভিনয় করেছেন। তাতে দুটি সিনেমার একটি দিয়ে হলেও বুবলী পেয়ে যেতে পারেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। অবশ্য তেমন আশাবাদ ‘প্রহেলিকা’ সিনেমার চরিত্রটিকে ঘিরেও। তারকাদের নিয়ে সমাজমাধ্যমে ট্রোলিং নতুন ঘটনা নয়। সময়ের সঙ্গে কেউ কেউ বিষয়টার সঙ্গে নিজেকে মানিয়েও নেন। তবে এবার বেনজির ঘটনার সাক্ষী থাকলেন টালিউড অভিনেত্রী রাইমা সেন। বাড়ির ল্যান্ডলাইন ফোনে লাগাতার অভিনেত্রীকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে একাধিক ভারতীয় গণমাধ্যম। কিন্তু কেন? ‘মা কালী’ নামের একটি হিন্দি ছবিতে অভিনয় করেছেন সুচিত্রা সেনের নাতনি রাইমা। ছবির প্রেক্ষাপট ১৯৪৬ সালের ১৬ আগস্টের সাম্প্রদায়িক হিংসা। ইতিহাসে যা ‘ডিরেক্ট অ্যাকশন ডে’ বা ‘১৯৪৬ ক্যালকাটা কিলিংস’ নামে পরিচিত। 

এরই মধ্যে ছবির একাধিক পোস্টার প্রকাশ্যে এসেছে। জানা গেছে, তার পর থেকেই নাকি অভিনেত্রীর কলকাতার বাড়ির ল্যান্ডলাইন ফোনে অজ্ঞাতপরিচয় কিছু ব্যক্তি লাগাতার ফোন করে অভিনেত্রীকে হুমকি দিচ্ছেন। লোকসভা ভোটের দিন এগিয়ে আসছে। তার আগে ‘মা কালী’ ছবিটিকে ‘প্রোপাগান্ডা ছবি’ হিসেবে দাগিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেই কি এই হুমকি? উঠছে প্রশ্ন।

বর্তমানে রাইমা মুম্বাইয়ে রয়েছেন। হুমকির বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করে ভারতের আনন্দবাজার অনলাইনকে রাইমা সেন বলেন, ‘আমি অবাক! এ রকমও যে হতে পারে আমার কোনো ধারণাই ছিল না। হিন্দি ও বাংলা ভাষায় রীতিমতো হুমকি দেওয়া হচ্ছে।’ রাইমার মতে, যে ভাষায় হুমকি দেওয়া হচ্ছে, তা মুখে প্রকাশ করা বা ছাপার অযোগ্য। তবে অভিনেত্রী জানালেন, ‘সুচিত্রা সেনের নাতনি হয়ে কীভাবে রাজি হলেন?’ বা ‘আপনাকে কলকাতাতেই তো থাকতে হবে!’ 

এই ধরনের বাক্য ফোনের ওপার থেকে ধেয়ে এসেছে। উল্লেখ্য, আগামী ৬ এপ্রিল সুচিত্রা সেনের জন্মদিন। রাইমা বললেন, ‘আমি বাইরে। মা-বাবা বাড়িতে একা থাকেন। স্বাভাবিকভাবেই ওরা একটু চিন্তিত। তবে বাবা আমায় বিষয়টাকে পাত্তা দিতে নিষেধ করেছেন।’

রাইমার মতে, ছবি না দেখে আগে থেকে কোনো কিছু অনুমান করে নেওয়া উচিত নয়। তার কথায়, ‘শিল্পীর কাজ যেকোনো চরিত্রে সাবলীল অভিনয় করা। ভালো চরিত্র দেখেই ছবিটা করতে রাজি হই। এখন অহেতুক বিষয়টা জটিলতার দিকে বাঁক নিচ্ছে। ‘আপাতত ছবির টিজ়ার ও ট্রেলার প্রকাশের জন্য কয়েক দিন একটু সময় নিচ্ছি। কিন্তু যদি এই ভাবে হেনস্তা চলতেই থাকে, তাহলে তখন অভিযোগ জানাতেই হবে।’বিশ্বের জপ্রিয় হলিউড জনপ্রিয় সিনেমার একটি স্পাইডারম্যান। এখন পর্যন্ত যতজন স্পাইডারম্যান চরিত্রে অভিনয় করেছেন, তাদের মধ্যে টোবি ম্যাগুইরে ছিলেন সবচেয়ে জনপ্রিয়। প্রায়ই ভক্তরা প্রশ্ন ছোড়ে, কখন তিনি ফিরতে যাচ্ছেন স্পাইডার দুনিয়ায়। দীর্ঘদিন ধরে গুঞ্জনও ছিল, যদি স্যাম রাইমি স্পাইডারম্যানের নির্মাণভার হাতে নেন তবে শিগগিরই চতুর্থবারের মতো দেখা যাবে ম্যাগুইরেকে। সে গুঞ্জনের দিকে ইঙ্গিত করেই সম্প্রতি মুখ খুলেছেন নির্মাতা স্যাম রাইমি। তিনি বলেছেন, ‘আমি এখনো বিষয়টি সম্পর্কে শুনিনি। তবে আমি পড়েছি এ বিষয়ে। এখন পর্যন্ত বিষয়টি নিয়ে কাজ করছি না। কারণ মার্ভেল আর কলম্বিয়া তাদের বর্তমান স্পাইডারম্যান নিয়ে দারুণভাবে সফল। আমি জানি না, তারা আমার কাছে ফিরবেন কি না। তবে আমরা সে গল্প বলতে পারব।’ 

মার্ভেলের ভক্তরা মনে করছে, কোনো একসময় রাইমি ম্যাগুইরের সঙ্গে কাজ করবেন। স্পাইডারম্যানের যে আখ্যান ২০০২ সালে শুরু হয়েছে, তা আরও দীর্ঘ হবে। সিনেমায় টোবি ম্যাগুইরে একটা অভ্যস্ততা তৈরি করে ফেলেছেন দর্শকের মননে। এদিকে ১৪ বছর পর স্পাইডারম্যানের পোশাকে টোবিকে দেখে ভক্তরাও নস্টালজিক হয়ে পড়ে। প্রকৃতপক্ষে ভক্তরা শুরু থেকে এ অভিনেতাকেই দেখতে চাচ্ছিল স্পাইডারম্যান হিসেবে। স্যাম রাইমি সে কৌতূহলের জবাবে বলেন, ‘আমি নিশ্চিত নই। তবে আমি সব স্পাইডারম্যান মুভিই ভালোবাসি। ‌‘‌স্পাইডারম্যান: নো ওয়ে হোম’ আমার পছন্দ। কারণ এখানেই টোবি ম্যাগুইরেকে দেখাটা ছিল দুর্দান্ত।’

স্যাম রাইমি ২০০৪ সালে ‘‌স্পাইডারম্যান টু’-এর পরিচালনার ভার হাতে নেন। ২০০৭ সালে তার হাত ধরেই মুক্তি পায় ‘‌স্পাইডারম্যান থ্রি’। এ পরিচালক মার্ভেল ইউনিভার্সে ফিরে আসেন ২০২২ সালে। পরিচালনা করেন ‘ডক্টর স্ট্রেঞ্জ ইন দ্য মাল্টিভার্স অব ম্যাডনেস।’ কাছাকাছি সময়েই টোবিকে দেখা যায় মার্ভেলের স্পাইডারম্যান: নো ওয়ে হোম সিনেমায়। এতদিন পরে স্পাইডারম্যানের পোশাক পরে কেমন লেগেছে, এ নিয়ে কথা বলেন। সে সময় এ অভিনেতা বলেন, ‘এত বছর পর স্পাইডারম্যানের পোশাক পরে বেশ আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলাম। কিছুটা অস্বস্তিও লাগছিল। আমি মনে করি, পোশাকটার একটা শক্তি রয়েছে।’