৩ দিন ভারত ভ্রমণে যেতে পারবেন না বাংলাদেশিরাসৌদিতে বাংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যুঢাকায় গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টিদেশজুড়ে তাপপ্রবাহ বইছে, কিছু স্থানে বৃষ্টির আভাসযুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল
No icon

বড় শোডাউনের প্রস্তুতি বিএনপির

সরকারবিরোধী চলমান আন্দোলনে সারাদেশে একযোগে শোডাউনের প্রস্তুতি নিয়েছে বিএনপি। আজ ৬৬টি সাংগঠনিক জেলা সদরে পদযাত্রা করবে দলটি। সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্তসহ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার দাবির অংশ হিসেবে যুগপৎ এ কর্মসূচি পালন করবেন নেতাকর্মীরা। ১০ দফা দাবি আদায়ে ধারাবাহিক কর্মসূচির মধ্য দিয়ে এবার জেলা পর্যায়ে সাংগঠনিক সক্ষমতা প্রমাণে চ্যালেঞ্জও রয়েছে তাদের সামনে। এ কারণে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠন। সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণকেও প্রাধান্য দিচ্ছে দলের হাইকমান্ড। ইতোমধ্যে জেলায় জেলায় দায়িত্বশীল নেতারা প্রস্তুতি সভা করছেন। কেন্দ্র থেকে সিনিয়র নেতাদের সমন্বয়ে প্রতি জেলায় সমন্বয় কমিটি গঠন করা হয়েছে; যাঁরা এ কর্মসূচির নেতৃত্ব দেবেন।সূত্র জানায়, চলমান আন্দোলনে জনগণকে ব্যাপকভাবে সম্পৃক্ত করতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে দলটির হাইকমান্ড। বিভাগীয় সদরগুলোয় সমাবেশের মাধ্যমে বড় শোডাউনের পর এবার জেলা পর্যায়ে মূলত তৃণমূলের নেতাকর্মীকে চাঙ্গা করতে চায় বিএনপি। এ কর্মসূচি থেকে আগামী ৪ মার্চ যুগপৎ আন্দোলনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। তবে কী কর্মসূচি আসবে, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। নতুন কর্মসূচি হিসেবে মহানগরের থানা ও ওয়ার্ডে পদযাত্রার বিষয়টি আলোচনায় রয়েছে। সমমনা দল ও জোটের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে দ্রুত সময়ের মধ্যে ঘোষণা করা হবে।

নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবিতে গত ২৪ ডিসেম্বর ঢাকার বাইরে জেলা ও মহানগরে গণমিছিলের মধ্য দিয়ে যুগপৎ আন্দোলন শুরু করে বিএনপি। তবে আওয়ামী লীগের সম্মেলনের কারণে ঢাকায় ৩০ ডিসেম্বর ওই কর্মসূচি পালিত হয়। এরপর ১১ জানুয়ারি অবস্থান কর্মসূচি, ১৬ ও ২৫ জানুয়ারি বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ, ৪ ফেব্রুয়ারি বিভাগীয় গণসমাবেশ, ১১ ফেব্রুয়ারি ইউনিয়ন পর্যায়ে পদযাত্রা, ১৮ ফেব্রুয়ারি মহানগরে পদযাত্রার কর্মসূচি পালিত হয়।জানা গেছে, ঘোষিত প্রত্যেকটি কর্মসূচি পালনে নেতাকর্মীর প্রতি কঠোর বার্তা রয়েছে বিএনপির হাইকমান্ডের। যেসব স্থানে ঢিলেঢালা কর্মসূচি পালিত হবে কিংবা কোনো কারণে কর্মসূচি পালনে ব্যর্থ হলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি রয়েছে। প্রয়োজনে শহর ছেড়ে শহরতলিতে গিয়ে হলেও মাঠে নামার জন্য জেলা নেতাদের বলা হয়েছে। দলের কেন্দ্র থেকে প্রতিটি কর্মসূচি পর্যবেক্ষণ করার জন্য গঠন করা হয়েছে সেল। নিয়মিতভাবে এ থেকে জেলার নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে বলেও জানা গেছে।

ঢাকা জেলার পদযাত্রার নেতৃত্ব দেবেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, অনির্বাচিত ও জোর করে ক্ষমতা দখলে রাখা সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হয়েছে। সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণভাবে তাদের কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। শুধু দলীয় নেতাকর্মীই নন, দেশের সাধারণ মানুষ যুগপৎ আন্দোলনে সম্পৃক্ত হচ্ছেন। তাদের চলমান আন্দোলনকে একটা পর্যায়ে চূড়ান্ত রূপ দেওয়া হবে।বিদ্যুৎ, গ্যাস, চাল, ডাল, তেল, চিনিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দাম কমানো ও দমন-নিপীড়ন বন্ধ এবং খালেদা জিয়াসহ কারাবন্দি নেতাকর্মীর মুক্তি ও জনদুর্ভোগ সৃষ্টিকারী গণবিরোধী, সরকারের পদত্যাগ, অবৈধ সংসদ বাতিল, নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ১০ দফা দাবিতে জেলা পর্যায়ে এ পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে। জেলা পর্যায়ের নেতারা জানান, সারাদেশে ইউনিয়ন পর্যায়ে কর্মসূচির পর থেকে জেলা পর্যায়ে এ পদযাত্রা সফল করতে তাঁরা নিয়মিত ঘরোয়া ও উঠান বৈঠকের পাশাপাশি, প্রচারপত্র বিলির মতো কার্যক্রম শেষ করেছেন। প্রত্যেক ইউনিয়নে হাটবাজারে প্রচারণা চালিয়েছেন। এ কর্মসূচিতে ব্যাপক লোক সমাগম ঘটাতে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়েছেন তাঁরা।