দেশে নভেল করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ২ বছর হতে চলল। কিন্তু সরকারি পর্যায়ে দেশের ৩৪ জেলায় এখনো স্থাপন হয়নি করোনা ভাইরাস নির্ণয়ের প্রধান অনুষঙ্গ আরটি-পিসিআর (রিয়াল টাইম পলিমার চেইন রিঅ্যাকশন) ল্যাব। ফলে ওইসব এলাকার করোনা পরীক্ষা করাতে গিয়ে নানা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে পিসিআর পরীক্ষা করাতে খরচ প্রায় ৩ হাজার টাকা, যেখানে সরকারি হাসপাতালে লাগে ১০০ টাকা। তবে ওমিক্রন সংক্রমণের বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে সম্প্রতি এসব জেলায় পিসিআর ল্যাব স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পিসিআর ল্যাব না থাকায় এসব জেলার সাধারণ মানুষ স্বল্পমূল্যে করোনা পরীক্ষা করাতে পারছেন না। যাদিও এসব জেলায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে পর্যায়ক্রমে জিনএক্সপার্ট মেশিন এবং রj;্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়। তবে ওইসব পরীক্ষা সীমিত পরিসরেই হয়ে থাকে। সরকার সব জেলায় পিসিআর ল্যাব স্থাপনের উদ্যোগ নিলে অবশ্যই সেটি ইতিবাচক।এ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমূহ) ডা. ফরিদ হোসেন মিঞা বলেন, কোনো দাতা সংস্থার সহায়তায় নির্দিষ্ট প্রকল্পের আওতায় এসব জেলায় ল্যাব স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে কোন প্রকল্প থেকে, তা তিনি নিশ্চিত করে বলতে পারেননি।ই
মারজেন্সি রেসপন্স অ্যান্ড প্যানডেমিক প্রিপ্রেয়ার্ডনেস (ইআরপিপি) প্রকল্পের পরিচালক ডা. শাহ গোলাম নবী বলেন, তার প্রকল্প থেকে শুধু পিসিআর ল্যাব নয়, পরিপূর্ণ মাইক্রোবায়োলজিক্যাল ল্যাব স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যে জানা গেছে, মাদারীপুর, মুন্সীগঞ্জ, নরসিংদী, রাজবাড়ী, শরিয়তপুর, বরগুনা, ঝালকাঠি, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, বান্দরবান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ফেনী, খাগড়াছড়ি, লক্ষ্মীপুর, নেত্রকোনা, শেরপুর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, জয়পুরহাট, নাটোর, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, নীলফামারী, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, সুনামগঞ্জ, বাগেরহাট, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ, মাগুরা, মেহেরপুর, নড়াইল- এই ৩৪ জেলায় আরটি-পিসিআর মেশিন নেই।অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, সরকারি ব্যবস্থাপনায় দেশের বিভিন্ন স্থানে মোট ৬৫টি পিসিআর ল্যাব রয়েছে। এর মধ্যে ১৭টি ঢাকায়। এগুলো হলো-ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরি মেডিসিন এন্ড রেফারেল সেন্টার, আইইডিসিআর, ইনস্টিটিউট অব পাবলিক হেলথ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্বাবিদ্যালয়, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব প্রিভেন্টিভ এন্ড সোশাল মেডিসিন-নিপসম, মুগদা মেডিক্যাল কলেজ, স্যার সলিমুল্লা মেডিক্যাল কলেজ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ক্যান্সার রিসার্চ এন্ড হাসপাতাল, আর্মড ফোর্সেস ইনস্টিটিউট অব প্যাথলজি এন্ড সিএমএইচ, কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল, বর্ডারগার্ড হাসপাতাল, সরকারি কর্মচারী হাসপাতাল।