উপজেলা নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপিডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ভিপি নুরুল হক নুরের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি ফরিদপুরে বাস-পিকআপভ্যান সংঘর্ষে নিহত ১১গরমে বাড়ছে ডায়রিয়া, জ্বরবিভিন্ন স্থানে শিলাবৃষ্টির পূর্বাভাস
No icon

রাজশাহীর উন্নয়ন দেখতে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

উন্নয়ন কর্মকাণ্ড দেখতে প্রায় পাঁচ বছর পর রাজশাহী সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। আজ রবিবার বিকালে ঐতিহাসিক মাদ্রাসা মাঠে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় ভাষণ দেবেন তিনি। এরই মধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে গোটা মহানগরী নতুন রূপ পেয়েছে। তবে সবার নজর কেড়েছে কর্ণফুলী টানেল মঞ্চ। স্বনির্ভরশীল দেশের অর্জন ও উন্নয়নের প্রতীক এই মঞ্চে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। এই মঞ্চেই ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী।রাজশাহীতে ১ হাজার ৩১৬ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ২৫টি প্রকল্প উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন ছয়টি প্রকল্পের। প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত আওয়ামী লীগ ও তাদের সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। গতকাল বিকালে রাজশাহীর সব ওয়ার্ডে একযোগে মিছিল করেন তারা। পাড়া-মহল্লায় চলে মাইকিং। সমাবেশ স্থল ঘিরে গড়ে তোলা হয়েছে কয়েক স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা। নির্দিষ্ট কয়েকটি ফটক দিয়ে তল্লাশির মধ্য দিয়ে মাঠে প্রবেশ করতে হবে নেতাকর্মীদের।গতকাল সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, আশপাশের বিভিন্ন জেলায় সভা-সমাবেশ ও প্রচার মিছিল হয়েছে। সব জায়গা থেকেই আমরা ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। রাজশাহীতে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা স্মরণকালের সর্ববৃহৎ হবে। সবার কাছেই জনসভাটি স্মরণীয় হয়ে থাকবে। এই জনসভায় প্রধানমন্ত্রী গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখবেন। বিভিন্ন এলাকার পাঁচ থেকে সাত লাখ নেতাকর্মী জনসভায় অংশগ্রহণ করবেন বলে আশা করছি।প্রধানমন্ত্রী সর্বশেষ রাজশাহী সফর করেন ২০১৮ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি। সে দিনও মাদ্রাসা মাঠেই ভাষণ দিয়েছিলেন তিনি।

সাত স্পেশাল ট্রেন : শেখ হাসিনার জনসভা উপলক্ষে রাজশাহীতে সাতটি বিশেষ ট্রেন চলবে। এসব ট্রেন ভাড়া দিয়েছে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে। পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার জানান, রাজশাহী-নাটোর, রাজশাহী-জয়পুরহাট, রাজশাহী-সান্তাহার, রাজশাহী ঢালারচর ও রাজশাহী-সিরাজগঞ্জ রুটে চলবে বিশেষ ট্রেনগুলো। স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের যাওয়া-আসার জন্য পুরো ট্রেনই ভাড়া নেওয়া হয়েছে। তবে অন্য যাত্রীরা ভাড়ার সমপরিমাণ অর্থ দিয়ে ট্রেনে চড়তে পারবেন। স্পেশাল ট্রেনের কারণে রেলের সময়সূচির বিপর্যয় ঘটার আশঙ্কা নেই বলেও জানান রেলের এ কর্মকর্তা।