এফডিসির ঘটনায় ডিপজল-মিশা সওদাগরের দুঃখ প্রকাশপ্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেনগরমের তীব্রতা কমাতে কী কাজ করেছেন, জানালেন হিট অফিসারবিনা ভোটে নির্বাচিত ৩৩ প্রার্থীসব ধরনের যাত্রীবাহী ট্রেনে ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে
No icon

জটিলতার শঙ্কায় নতুন নীতিমালা করছে ইসি

নতুন জনশুমারি ও হালনাগাদ ভোটার তালিকা অনুযায়ী ঢাকা-১৯ (সাভার) সংসদীয় আসনের বর্তমান জনসংখ্যা ১৯ লাখ ২ হাজার ২৯ জন এবং ভোটার ৮ লাখ ৭ হাজার ৩৯৪ জন। অথচ ঢাকা জেলায় ২০টি আসন হিসাবে প্রতিটিতে গড়ে ১০ লাখ ১০ হাজার ৯৬৯ জন জনসংখ্যা এবং ৪ লাখ ৪ হাজার ২৬৮ জন ভোটার থাকার কথা।এ হিসাবে গড় জনসংখ্যার চেয়ে এ আসনে ৮৮.১৪ শতাংশ জনসংখ্যা বেশি। আর ভোটার বেশি ৯৯.৭২ শতাংশ। ২০১৮ সালে এ আসনের ভোটার ছিল ৪ লাখ ৯১ হাজার ৯৭০ জন।অপরদিকে এর পাশেই অবস্থিত ঢাকা-২০ (ধামরাই) আসনে ঠিক অর্ধেকেরও কমসংখ্যক ভোটার ও জনসংখ্যা রয়েছে। এই আসনে জনসংখ্যা ৫ লাখ ১৭ হাজার ১৩৬ জন এবং ভোটার ৩ লাখ ৪৩ হাজার ১৪৩ জন। ঢাকা জেলার গড় হিসাব থেকে এ আসনে ৪৯ শতাংশ কম জনসংখ্যা এবং ১৫.১২ শতাংশ কম ভোটার রয়েছেন।নতুন জনশুমারি ও হালনাগাদ ভোটার তালিকা এভাবে ৩০০ সংসদীয় আসনেই জনসংখ্যা ও ভোটার সংখ্যার বড় ব্যবধান তৈরি করেছে। এছাড়া সীমানা নির্ধারণ নিয়ে আইন থাকলেও নেই কোনো বিধিমালা। এমন পরিস্থিতিতে সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ করতে গিয়ে জটিলতায় পড়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।এই জটিলতা এড়াতে সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ করতে নতুন নীতিমালা তৈরি করতে যাচ্ছে কমিশন। বিগত তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে (নবম, দশম ও একাদশ) যে পদ্ধতিতে সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ করা হয়েছে, সেই আলোকে নতুন নীতিমালা প্রণয়নের প্রস্তাব নিয়ে আজ কমিশন বৈঠকে বসছে নির্বাচন কমিশন। ইসি সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ সোমবার যুগান্তরকে বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সংসদীয় আসনের সীমানা কীভাবে নির্ধারণ হবে, সেই কার্যপদ্ধতি ঠিক করতে কমিশন বৈঠক হতে যাচ্ছে।তিনি বলেন, আমরা ইতোমধ্যে পরিসংখ্যান ব্যুরো থেকে জনশুমারির সব ধরনের তথ্য এনেছি। এতে আসনভিত্তিক জনসংখ্যার কমবেশি দেখা যাচ্ছে। কমিশন জনসংখ্যা, ভোটার সংখ্যা, প্রশাসনিক অখণ্ডতাসহ অন্যান্য বিষয় বিবেচনা করে যে কার্যপদ্ধতি ঠিক করে দেবে, আমরা সেই অনুযায়ী কাজ করব। তিনি আরও বলেন, আগামী জুনে সংসদীয় আসনের চূড়ান্ত সীমানা প্রকাশ করা হবে। এর আগে খসড়া প্রকাশসহ অন্যান্য পদক্ষেপ নেওয়া হবে।সূত্র আরও জানিয়েছে, বর্তমান কমিশন বিদ্যমান সংসদীয় আসনের সীমানায় বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে চায় না। এক্ষেত্রে জেলার সংসদীয় আসনের কোটা বহাল রাখা, প্রশাসনিক অখণ্ডতাকে গুরুত্ব দেওয়াসহ কয়েকটি বিষয় সামনে রেখে নীতিমালা প্রণয়ন করতে চায়। ওই পদ্ধতিতে নীতিমালা হলে জাতীয় সংসদের কিছু আসনে ছোটখাটো পরিবর্তন আসতে পারে। আর জনসংখ্যা ও ভোটার সংখ্যাকে গুরুত্ব দেওয়া হলে শহরের আসন বেড়ে যাবে, কমে যাবে গ্রামের আসন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ওই ঝুঁকি নিতে নারাজ বর্তমান কমিশন।

সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ কমিটির প্রধান নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর রোববার নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালেও জনসংখ্যার ভিত্তিতে আসনের সীমানা নির্ধারণ নিয়ে জটিলতার আশঙ্কা প্রকাশ করেন। ওই সময়ে তিনি জানান, শুধু একটাই ফ্যাক্টর, সেটা হলো জনসংখ্যা। জনসংখ্যার জন্য মাইগ্রেশনের (স্থান পরিবর্তন) যে পরিবর্তনটা আসে, সেক্ষেত্রে কিছুটা পরিবর্তন আসে। জনসংখ্যাকে তো আর সমবণ্টন করা যায় না। প্রশাসনিক ও ভৌগোলিক অখণ্ডতা ঠিক রাখলে জনসংখ্যা মেলানো কঠিন হয়ে যায়। তিনি বলেন, সীমানা পুনর্নির্ধারণ আইন অনুযায়ী, ভৌগোলিক অখণ্ডতা বজায় রেখে সর্বশেষ জনশুমারি প্রতিবেদনের জনসংখ্যার যতদূর সম্ভব বাস্তব বণ্টনের ভিত্তিতে সীমানা নির্ধারণ করতে হবে।